রেকর্ড ব্রেকিং পরিমাণে বৃষ্টিপাতের আশংকা আগামী ১৯ থেকে ২২ শে ডিসেম্বরের মধ্যে।
দুর্ভাগ্যক্রমে একই সময়ে স্থলভাগের উপরে একটি শক্তিশালি পশ্চিমা লঘুচাপ ও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি লঘুচাপের মিলিত প্রবাহে আগামী ১৯ থেকে ২২ শে ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপরে রেকর্ড ব্রেকিং পরিমাণে শীতকালীন বৃষ্টির প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে। এই সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিন ও মধ্যান্বচলের জেলাগুলোর উপরেও মাঝারি থেকে ভারি মানের বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে।
২০২২ সালের ৪ ও ৫ ই ফেব্রুয়ারি রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনিসংহ বিভাগের জেলাগুলোর উপরে যেই রকম রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছিল এই রকম পরিমাণে বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে আগামী ১৯ থেকে ২২ শে ডিসেম্বরের মধ্যে। বৃষ্টি শুরুরু সাম্ভব্য সময় ১৯ শে ডিসেম্বর দুপুরের পর থেকে সন্ধার মধ্যে। বৃষ্টি শেষ হওয়ার সাম্ভব্য সময় ২২ শে ডিসেম্বর দুপুরের পর থেকে সন্ধার মধ্যে।
সবচেয়ে বেশি বেশি পরিমাণে বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণে বৃষ্টিপাতের আশংকা করা যাচ্ছে রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। অপেক্ষাকৃত হালকা পরিমাণে বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে ১০০ থেকে ১৭৫ মিলিমিটার এবং বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপরে ৭৫ থেকে ১৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে।
সর্বোচ্চ পরিমাণে বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, নড়াইল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, গোপলাগন্জ, মুন্সিগন্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর জেলার উপরে।
খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর আলু-চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা করা যাচ্ছে ভারি বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে যাওয়ার কারণে। এই সকল বিভাগের কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে যে আজ থেকে ২২ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত আলুর জমিতে কৃত্রিম সেচ না দেওয়ার জন্য। একই সাথেকে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করে রাখার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য।
ইট ভাটার মালিকদের কাঁচা ইট ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে ১৯ তারিখের মধ্যে।