Weather Radar

আবহাওয়া রাডার ব্যবহার করে বৃষ্টিপাতের পরিমান, কালবৈশাখি ঝড় এর কারণে শীলা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ও ঘুর্নিঝড় প্রবাহের দিক নির্দেশ নির্নয় করা যায়। নিম্নে সংযুক্ত ছবিটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর রাডার হতে প্রাপ্ত।

 

খুব সহজ একটা উদাহরণ দেই যা আপনাদের সাহায্য করবে রাডার কি ভাবে কাজ করে তা বুঝতে। ক্রিকেট খেলা নিশ্চয় দেখেছেন। মনে করেন ক্রিকেট খেলার বলারটি হলও রাডার। ক্রিজে যে ক্রিকেটারটি ব্যট করতেছে সে হলও আকাশে ভসে চলা বৃষ্টি পূর্ণ কোন মেঘ। বলার যেমন করে ব্যা টসম্যানের উদ্দেশ্য বল নিক্ষেপ করে ঠিক একই ভাবে রাডারের নিক্ষেপক যন্ত্র বা ট্রান্সমিটার বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ পাঠায় মেঘের উদ্দেশ্যে। বলারের নিক্ষেপ করা বল যেমন ব্যাটসম্যান মিস করলে বল স্ট্যাম্পের পিছনে চলে যায় ঠিক তেমনি করে রাডার থেকে নিক্ষেপিত বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ মেঘের কণা এড়িয়ে দূরে চলে যায়। বল যেমন ব্যাটসম্যান এর ব্যাটে বিভিন্ন এঙ্গেলে লাগলে বিভিন্ন দিকে চলে যেতে পারে ঠিক একই ভাবে বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ ও মেঘের কণায় আঘাত করে বিভিন্ন দিকে চলে যেতে পারে। বল যদি সরাসরি ব্যাটসম্যানের ব্যটে লাগে ও ব্যাটসম্যান যদি স্ট্রেইট ড্রাইভে বলে মারে তবে সেই বলে অনেক সময় সরাসরি আবারও বলারের হাতে চলে আসে।
 
রাডারের ক্ষেত্রেও ঠিক একই ঘটনা ঘটে। রাডার থেকে মেঘ লক্ষকরে পাঠানো বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ মেঘের কণায় আঘাত করে প্রতিফলিত তরঙ্গ হিসাবে আবারও রাডারের এন্টেনায় অবস্থিত প্রাপক যন্ত্রে ফিরে আসে।  
 
 
 

রাডার হতে প্রাপ্ত ছবির কালার বর্ণনা:

রাডার হতে নির্গত আলোক শক্তি বৃষ্টির পানি কিংবা জ্বলীয় বাষ্পের কণা হতে প্রতিফলিত হয়ে রাডারের রিসিভারে ফেরত আসে। মেঘের অবস্থিত পানির কণা বা ফোটা যত বড় হয় সেগুলোতে আঘাত করে তত বেশি প্রতিফলিত বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ রাডারে ফিরে আসে ও রাডারে প্রতিফলিত শক্তির পরিমাণ বেশি হয়। 

বৃষ্টির পানি কিংবা জ্বলীয় বাষ্পের কণা হতে প্রতিফলিত হয়ে ফেরত আসা প্রতিফলিত শক্তি লগারিদমিক স্কেলে পরিমাপ করা হয়। প্রতিফলিত শক্তি পরিমাপের একক হচ্ছে dBZ (ডেসিবল)।  রিফ্লেকটিভিটি ও বৃষ্টিপাতের হার এর একটি গানিতিক সম্পর্ক আছে যা ব্যবহার করে বৃষ্টিপাতের পরিমান নির্নয় করা হয়। মেঘের মধ্যে জ্বলীয় বাষ্পের পরিমান বা বৃষ্টিপাতের পরিমান যত বেশি হবে রিফ্লেকটিভিটি এর মান তত বেশি হবে। 

 

প্রতিফলিত শক্তি যদি ২০ ডেসিবল নিচে থাকে তাহলে স্বল্প বা গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টিপাত হয়। প্রতিফলিত শক্তি ২০ থেকে ৩৫ ডেসিবলের মধ্যে থাকলে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাত নির্দেশ করে। প্রতিফলিত রশ্মির মান ৩৫ থেকে ৬০ এর মধ্যে হয় তখন মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হয়; যখন ৬০ ডেসিবলের বেশি হয় তখন সেই মেঘে শিলাবৃষ্টি রয়েছে বলে গণ্য করা হয়।

“The colors on the legend are the different echo intensities (reflectivity) measured in dBZ. “Reflectivity” is the transmitted power returned to the radar receiver. The scale of dBZ values is also related to the intensity of rainfall. Typically, light rain occurs when the dBZ value reaches 20. The higher the dBZ, the stronger the rain rate.”

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ওয়েবসাইট থেকে রিয়েল টাইম রাডার চিত্রে বাংলাদেশের আকাশে বৃষ্টিপাতের চিত্র পাওয়া যাবে।

https://met.baf.mil.bd/

ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহারের শর্তাবলী

 ১) এই ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত কোন তথ্য কোন প্রকাশনায় (যেমন, সংবাদ পত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, ফেসবুক, ব্লগ) ব্যবহার করলে আবহাওয়া ডট কম ওয়েবসাইটের নাম কিংবা মোস্তফা কামাল পলাশ (আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক, সাস্‌কাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, সাসকাটুন, কানাডা) এর নাম তথ্য সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা আবশ্যক।

২) এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত সকল আবহাওয়া পূর্বাভাস বেসরকারি তথ্য হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নীতি নির্ধারণই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওয়বেসাইটের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি দায়ী থাকিবে না। 

About the Author

Mostofa Kamal Palash

Founder & Lead Meteorologist

Mostofa Kamal Palash is pursuing his Ph.D. in the School of Environment and Sustainability at the University of Saskatchewan, Saskatoon, Canada. Mostofa obtained his MSc from the department of Earth and Environmental Sciences at the University of Waterloo, Waterloo, Ontario, Canada. Mostofa’s MSc Thesis title was “A Comprehensive Sensitivity Analysis of the Weather Research and Forecasting (WRF) Modeling System over Southern Ontario, Canada”. Mostofa completed a Post Graduate Diploma in Earth System Physics from the Abdus Salam International Centre for Theoretical Physics (ICTP), Trieste, Italy. His diploma thesis title was "Climate Sensitivity of Land-Use Change over South Asia Using the RegCM3 Modeling System." Mostofa also obtained an MSc in Physics from Shahjalal University of Science and Technology (SUST), Bangladesh. His MSc thesis title was "Seasonal Variation of Sensible and Latent Heat Flux Tendency in Bangladesh." Lastly, Mostofa completed his Bachelor of Science in Physics from (SUST), Bangladesh.

View All Articles