ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মেটিওস্যট ৯ নামক কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ঘূর্ণ্যমান মেঘের অবস্থান (লাল বৃত্তের অভ্যন্তরে)
ব্রেকিং নিউজ: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় “মোখা” সৃষ্টির প্রাথমিক অবস্থা আজ শনিবার, ৬ ই মে, ২০২৩ তারিখে শুরু হয়েছে।
সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা আজ ৬ ই মে, ২০২৩ তারিখে কোন অবস্থায় রয়েছে?
গত ২৬ শে এপ্রিল থেকে শুরু করে গত ২ সপ্তাহ ধরে যে বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে আসছি আপনাদের সেই ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির প্রাথমিক অবস্থা আজ শনিবার, ৬ ই মে, ২০২৩ তারিখে শুরু হয়েছে। কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে আন্দামান ও নিকবার দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিমে উঁচু ও ঘন সঞ্চরণশীল মেঘের বলয় সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই মেঘ আরও বেশি সংগঠিত হতে থাকবে। আজ ৬ ই মে, ২০২৩ তারিখে দুপুর ২ টার ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরও নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া বুলেটিন এর মধ্যমে যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণি বায়ুর সৃষ্টি হয়েছে। নিচে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তির কিছু অংশ তুলে দিলাম:
“A cyclonic circulation has formed and lay over the southeast Bay of Bengal and the neighborhood extending upto middle tropospheric level at 0830 IST of today the 6th May, 2023.
Under its influence a low pressure area is likely to form over the same region by 8th May, morning. It is likely to concentrate into a depression over Southeast Bay of Bengal around 9th May. Thereafter, it is likely to intensify into a cyclonic storm while moving nearly northwards towards central Bay of Bengal. The details of its path and intensification will be provided after the formation of the low pressure area. The system is under constant watch and being monitored regularly.”
বঙ্গোপসাগরের কোন স্থানে ঘূর্ণিবায়ুর সৃষ্টির হয়েছে?
উত্তর: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মেটিওস্যট ৯ নামক কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত মেঘের চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে স্থানে বায়ুর ঘূর্ণন সৃষ্টি হয়েছে তা ৮৭ দশমিক ৫ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশ ও ৫ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় (৮ ই মে এর মধ্য) সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা কোন অবস্থায় থাকবে?
উত্তর: দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণ্যমান মেঘের সৃষ্টি হয়েছে তা বর্তমান ৫ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে অবস্থান করতেছে। এখানে উল্লেখ্য যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য অন্যতম প্রধান একটি বল দরকার হয় যার নাম কোরিওলিস ফোর্স বা করিওলিস বল। এটি একটি আপাত বল যা সৃষ্টি হয় যখন কোন বস্তু (ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে বায়ু) নিজে ঘুরতে থাকে অন্য একটি ঘূর্ণ্যমান বস্তুর সপক্ষে (এই ক্ষেত্রে পৃথিবী)। বিষুবীয় রেখা বা শূন্য ডিগ্রী থেকে ৫ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে করিওলিস বলের মান শূন্য। বিষুবীয় রেখা থেকে উত্তর মেরু কিংবা দক্ষিণ মেরুর দিকে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে করিওলিস বলের মান বৃদ্ধি পেতে থাকে যা বায়ুর ঘূর্ণনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণ্যমান মেঘের সৃষ্টি হয়েছে তা আজ থেকে ৫ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ থেকে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকবে পূর্ব দিক থেকে আগত ট্রেড বায়ু ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে আগত বায়ুর মিলিত প্রভাবে। দুই দিক থেকে আগত প্রায় বিপরীতমুখী এই বায়ুর চাপে ঘূর্ণ্যমান মেঘের বলয় আগামী ৪৮ ঘণ্টা প্রায় পুরোপুরি উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল রবিবার দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণ্যমান এই মেঘ আন্দামান ও নিকবার দ্বীপপুঞ্জের অনেক কাছা-কাছি (৭ থেকে ৮ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৮ থেকে ৮৯ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) চলে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় (৮ ই মে এর মধ্য) লঘু চাপ, নিম্ন চাপ ও গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা কেমন?
উত্তর: দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণ্যমান মেঘের সৃষ্টি হয়েছে তা বর্তমান ৫ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে অবস্থান করতেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মেটিওস্যট ৯ নামক কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত বায়ু শিয়ারের চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে আজ শনিবার বিকেল ৬ টার সময় ঘূর্ণ্যমান মেঘ যে স্থানে অবস্থান করতেছে তার উত্তর দিকে বায়ুর শিয়ারের মান প্রতি সেকেন্ডে ৫ থেকে ২০ মিটার। এখানে উল্লেখ্য যে এই মান সর্বাপেক্ষা অনুকূল পরিবেশ হিসাবে গণ্য করা হয় ঘূর্ণিঝড় সংগঠিত হওয়ার জন্য।
ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস প্রয়োজন হয়। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণ্যমান মেঘের সৃষ্টি হয়েছে সেই স্থানের সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা প্রায় ২৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ঘূর্ণ্যমান উত্তর দিকে যে পথে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল সেই পথে সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে আজ থেকে প্রতিনিয়ত শক্তিশালী হতে থাকবে ঘূর্ণ্যমান মেঘটি আরও ঘন ও উচ্চ মেঘের সৃষ্টি করতে থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য আর একটি উপাদান দরকার তা হলও সমুদ্রে জমা থাকা শক্তির পরিমাণ। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে যে স্থানে ঘূর্ণ্যমান মেঘের সৃষ্টি হয়েছে সেই সহান ও ঐ সহান থেকে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে সমুদ্রের পানিতে সবচেয়ে বেশি শক্তি জমা রয়েছে। এই কারণেও আগামী ৪৮ ঘণ্টা ঘূর্ণ্যমান উত্তর দিকে যে পথে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল সেই পথে অনেক বেশি শক্তির যোগান পাবে ঘূর্ণ্যমান মেঘটি যে কারণে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দ্রুততার সাথে প্রথমে ইনভেষ্ট এর পরে লঘু চাপ তার পরে নিম্নচাপ ও তারও পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইনভেষ্ট এর পরে লঘু চাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আগামী সোমবার নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপে প্রণীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যদি মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ু শিয়ায়ের মান ৫ থেকে ২০ এর মধ্যে থাকে তবে আগামী মঙ্গলবার পূর্নাঙ্গ ঘুর্নিঝ মোখা সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল।
ছবি: বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির তাপমাত্রা (৬ ই মে, ২০২৩), ছবি সূত্র: ক্লাইমেট রিএনালাইজার ডট কম
সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা এর বাতাসের গতিবেগ কেমন হতে পারে?
উত্তর: আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাস, বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রের তাপমাত্রা, সমুদ্রে জমা থাকা শক্তি, আব হাওয়া সম্পর্কিত সূচকের তথ্য বিশ্লেষ করে আশংকা করা হচ্ছে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা সমুদ্রে থাকা অবস্থায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৬০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে উপকূলে আঘাত করার সময় ঘূর্ণিঝড় মোখা এর বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৩০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে।
সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা এর কারণে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা কেমন হতে পারে?
উত্তর: সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে অনুমান করা হচ্ছে যে ঘূর্ণিঝড় মোখা ১২ ই মে মধ্যরাতের পর থেকে ১৪ ই মে সকালের মধ্যে কোন এক সময় উপকূলে আঘাত করতে পারে। এই সময়ের মধ্যে চন্দ্র সূর্য ও পৃথিবীর অবস্থানের ভিত্তিতে অশংকা করা যাচ্ছে যে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ৭ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে।
সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা কোন স্থানের উপর দিয়ে উপকূলে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে?
উত্তর: গত ২ সপ্তাহ থেকে দেওয়া পূর্বাভাস গুলোতে প্রতিনিয়ত উল্লেখ করেছি যে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা কোন স্থানের উপর দিয়ে উপকূলে আঘাত করতে পারে তা নির্ভর করবে ভারতীয় উপমহাদেশর উপর জেট স্ট্রিম এর অবস্থান কোথায় থাকবে তার উপর।
স্থল ভাগে আঘাতের সম্ভব্য স্থান ১: যদি আগামী ১০ ই মে পর্যন্ত জেট স্ট্রিম এর তরঙ্গ পাদ ভারতের পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিম নেপালের উপর অবস্থান করে তবে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করতে পারে।
স্থল ভাগে আঘাতের সম্ভব্য স্থান ২: যদি আগামী ১০ ই মে পর্যন্ত জেট স্ট্রিম এর তরঙ্গ পাদ ভারতের মধ্য প্রদেশ ও বিহার রাজ্যের উপর অবস্থান করে তবে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করতে পারে।
স্থল ভাগে আঘাতের সম্ভব্য স্থান ৩:
যদি আগামী ১০ ই মে পর্যন্ত জেট স্ট্রিম এর তরঙ্গ পাদ ভারতের ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের উপর অবস্থান করে তবে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকা ও মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করতে পারে।
ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্ট সিস্টেম মডেল (ECMWF Integrated Forecasting System (IFS)) মডেল হতে প্রাপ্ত সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা এর স্থল ভাগে আঘাতের ৫১ টি সম্ভব্য স্থান। প্রতিটি লাইন সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা এর একটি পথ নির্দেশ করতেছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্ট সিস্টেম মডেল (ECMWF Integrated Forecasting System (IFS)) মডেল ও আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম( Global Forecast System (GFS)) পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা এর কেন্দ্র বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার উপর দিয়ে অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
আজ মে মাসের ৬ তারিখ। সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা ১২ ই মে বিকেলের পর থেকে ১৪ মে সকালের মধ্যে। অর্থাৎ, সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা এর স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা আজ থেকে ৭ দিন পরে। এখানে উল্লেখ্য যে আমেরিকা ও ইউরৈয়ান ইউনিয়নের মডেল থেকে প্রাপ্ত ৭ দিন পূর্বের ঘূর্ণিঝড়ের চলার পথের অনিশ্চয়তা নির্দেশিত পথ অপেক্ষা প্রায় ৩০০ কিলোমিটার ডানে বা বায়ে হতে পারে।
আজ মে মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত, সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা এর সৃষ্টি সম্বন্ধে ৯৯ % নিশ্চয়তা দেওয়া গেলেও সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে ঘূর্ণিঝড় মোখা যে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার উপর দিয়ে অতিক্রম করবে সেই বিষয়ে সম্ভাবনা এখনও ৫০ থেকে ৬০% এর বেশি না।
*****************************************************************
******** সংবিধি বধ্য সতর্কীকরণ********
*****************************************************************
এই ওয়েবসাই থেকে সংগৃহীত তথ্য সূত্র উল্লেখ না করে প্রকাশ করা সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। তবে যথাযথ ভাবে নিম্নোক্ত সূত্র উল্লেখ পূর্বক প্রকাশে কোন বাধা নেই।
মোস্তফা কামাল পলাশ,
আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক,
সাস্কাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, সাসকাটুন, কানাডা
ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহারের শর্তাবলী
১) এই ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত কোন তথ্য কোন প্রকাশনায় (যেমন, সংবাদ পত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, ফেসবুক, ব্লগ) ব্যবহার করলে আবহাওয়া ডট কম ওয়েবসাইটের নাম কিংবা মোস্তফা কামাল পলাশ (আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক, সাস্কাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, সাসকাটুন, কানাডা) এর নাম তথ্য সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা আবশ্যক।
২) এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত সকল আবহাওয়া পূর্বাভাস বেসরকারি তথ্য হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নীতি নির্ধারণই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওয়বেসাইটের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি দায়ী থাকিবে না।