রবিবারের (জানুয়ারি ১৪) আবহাওয়া পূর্বাভাস: সোমবারের পর থেকে চলমান কুয়াশার প্রকোপ শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা
আজ রবিবার (জানুয়ারি ১৪, ২০২৪) সকাল ৬ টা বেজে ৩০ মিনিটের সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত কুয়াশার চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে দেশের ৬৪ টি জেলার প্রত্যেকটির উপরে হালকা থেকে মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিলও। তবে আজকেও কোন কোন জেলার কিছু উপজেলার উপরে কুয়াশার উপস্থিতি দেখা যায় নি কিংবা কুয়াশার পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম ছিলও। বিশেষ করে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, বরিশাল, বরগুনা ইত্যাদি জেলার অনেক উপজেলার উপরে কুয়াশার পরিমাণ খুবই কম ছিলও বা ছিলও না।
আজ মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে খুলনা ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। সবচেয়ে বেশি ঘনত্বের কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। রংপুর বিভাগের পশ্চিমের জেলাগুলোর উপরে কুয়াশার ঘনত্ব অপেক্ষাকৃত বেশি ছিলও পূর্ব দিকের জেলাগুলো অপেক্ষা। আজ অপেক্ষাকৃত হালকা মানের কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপরে।
ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে (সকাল ৬ টা বেজে ৩০ মিনিটের সময়, জানুয়ারি ১৪, ২০২৪) বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার উপরে কুয়াশার বিস্তার দেখা যাচ্ছে ।
আজ রবিবার সকাল ১১ টার কুয়াশার চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে এখন পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার উপস্থিতি রয়েছে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশিভাগ জেলার উপরে।
রংপুর বিভাগ: রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁ, পঞ্চগড়, নীলফামারী জেলার উপরে দুপুর ২ টার মধ্যে সূর্যের আলো দেখার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ও দিনাজপুর জেলার কিছু উপজেলার উপরে দুপুর ৩ টার পূর্বে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
ঢাকা বিভাগ: পদ্মা নদীর দুই পাশের ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে দুপুর ৩ টার পূর্বে সূর্যের আলো দেখার সম্ভাবনা খুবই কম। সম্ভাবনা রয়েছে ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি, শরিয়তপুর, মুন্সিগন্জ জেলার উপরে আজ সূর্যের আলো না দেখার। তবে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ জেলার উপরে দুপুর ২ টার পরে সূর্যের আলো দেখতে পাওয়ার।
রাজশাহী বিভাগ: দুপুর ১ টার মধ্যে রাজশাহী বিভাগের পাবনা ও সিরাজগঞ্জ ছাড়া অন্যান্য জেলা সকল জেলার উপরে সূর্যের আলো দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।
ময়মনিসংহ বিভাগ: দুপুর ১ টার মধ্যে নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলার উপরে সূর্যের আলো দেখার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দুপুর ৩ টার পূর্বে জামালপুর ও শেরপুর জেলার উপরে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম।
সিলেট বিভাগ: সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার উপরে থেকে কুয়াশা সরে গিয়ে সূর্যের আলো দেখা যাওয়া শুরু হয়েছে। দুপুর ১ টার মধ্যে সিলেট বিভাগের সকল জেলার উপরে থেকে কুয়াশা সরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খুলনা বিভাগ: খুলনা বিভাগের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাগুলোর উপরে থেকে কুয়াশা সরে গিয়ে সূর্যের আলো দেখা যাওয়া শুরু হয়েছে। দুপুর ১ টার মধ্যে খুলনা বিভাগের সকল জেলার উপরে থেকে কুয়াশা সরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগ: দুপুর ৩ টার পূর্বে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, ব্রাক্ষমণবাড়িয়া, ও উত্তর চট্টগ্রাম জেলার উপরে সূর্যের আলো দেখার সম্ভাবনা খুবই কম। দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবন জেলার আকাশ কুয়াশা-মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দুপুর ২ টার মধ্যে।
বরিশাল বিভাগ: বরিশাল, ভোলা ও পটুয়াখালী জেলার উপরে দুপুর ৩ টার পূর্বে সূর্যের আলো দেখার সম্ভাবনা কম। বরগুনা জেলা কুয়াশা মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দুপুর ১ টার মধ্যে
ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে (সকাল ১১ টা বেজে ৩০ মিনিট, জানুয়ারি ১২৪ ২০২৪) বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার উপরে কুয়াশার বিস্তার দেখা যাচ্ছে ।
রবিবার, জানুয়ারি ১৪, ২০২৪ দেশের উল্লেখযোগ্য শহর ও স্থানগুলোতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড (সকাল ৬ টার সময়)
আজ রবিবার সকাল ৬ টার সময় দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দিনাজপুর জেলায় সকাল ৬ টার সময় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৬ টার চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যশোর জেলায় সকাল ৬ টার সময় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাজশাহী জেলায় ভোর ৬ টার সময় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকা বিমানবন্দরে ভোর ৬ টার সময় ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বরিশালে ভোর ৬ টার সময় ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আজ রবিবার, ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বায়ু-দূষণের মানচিত্র
আজ রবিবার, ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ পুরো বিশ্বে সবচেয়ে দুষিত শহর হিসাবে ঢাকা শহরের অবস্থান ছিল ৪ নম্বরে (সকাল ১১ টার সময় পাওয়া তথ্য অনুসারে)। আজ সকাল ১১ টার সময় ঢাকা শহরের ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার (পিএম ২.৫) বা তার চেয়ে কম ব্যাসার্ধের পার্টিকুলেট ম্যাটারের গড় ঘনত্ব রেকর্ড করা হয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ১৮৮। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্রহণযোগ্য মাত্রা অপেক্ষা প্রায় ১৯ গুন বেশি।
ছবি: বিশ্বের বড়-বড় শহরগুলোর বায়ুর গুনগত মানের (কোন শহরের বায়ুর মধ্যে ধূলিকণা-বালুকণা সহ অন্যান্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পদার্থের পরিমাণ) মানচিত্র। ছবি কৃতজ্ঞতা: সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক সংস্থা আই কিউ এয়ার (IQAir)
বিশেষ দ্রষ্টব্য: বায়ুদূষণ পরিমাপের জন্য যে সূচক ব্যবহার করা হয় তা হলও, প্রতি ঘনমিটারে পার্টিকুলেট ম্যাটারের পরিমাণ। এক ঘনমিটারের মধ্যে কত মাইক্রোগ্রাম পার্টিকুলেট ম্যাটার আছে। পার্টিকুলেট ম্যাটার হলও— বাতাসের মধ্যে ধূলিকণা, ময়লা, আবর্জনা, লতাপাতার ভগ্নাংশ, ফুলের রেণু ইত্যাদি। সাইজ অনুসারে পার্টিকুলেট ম্যাটারকে দুভাগে ভাগ করা হয়— ব্যাসার্ধ ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার (পিএম ২.৫) বা তার চেয়ে কম ও পিএম ১০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে কম। ১ মাইক্রোমিটার হলও ১ মিটারের ১০ লক্ষ ভাগের এক ভাগ বা ১ মিলিমিটারের ১ হাজার ভাগের এক ভাগ।
ঢাকা শহরের কোন স্থানের বায়ু-দূষণের পরিমাণ কেমন ছিল?
ঢাকা শহরে অস্হিত আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে যা International Centre for Diarrheal Disease Research, Bangladesh (icddr,b) নামে পরিচিত সেই সংস্থা পরিচিত বায়ুদূষণ যন্ত্রে ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার (পিএম ২.৫) বা তার চেয়ে কম ব্যাসার্ধের পার্টিকুলেট ম্যাটারের গড় ঘনত্ব রেকর্ড করা হয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ২৯৩ (সকাল ১১ টার সময়)।
রবিবার (১৪ ই জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে সোমবার (১৫ ই জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা পূর্বাভাস
আজ রবিবার সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে সোমবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত দেশের বেশিভাগ জেলাই মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপরে ঘন কুয়াশা থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সকল বিভাগের জেলাগুলোর উপরে আগামীকাল রবিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সূর্যের আলো দেখতে না পাওয়া প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর উপরে।আগামীকাল রবিবার দুপুর ২ টার পূর্বের সূর্যের আলো দেখতে না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ও চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তর দিকের বেশিভাগ জেলাগুলোর উপরে।
রবিবার দিবাগত রাতে মহাসড়কে বাস-ট্রাক চলাচল ঝুঁকি ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা
আজ রবিবার দিবাগত রাতে (পুরো রাত) ভারি থেকে খুবই ভারি কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে রংপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, বরিশাল, ঢাকা, ও চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলার সড়ক ও মহাসড়কে।
আজ রবিবার দিবাগত রাতে নৌ-পরিবহন ঝুঁকি ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা
আজ রবিবার দিবাগত রাতে (সন্ধ্যা ৭ টার পর থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত) ঘন থেকে খুবই ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে দেশের রংপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের সকল নৌপথে। আজ রাতে যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা নদীর নৌপথের দৃষ্টিসীমা ৫০ থেকে ১০০ মিটার এর নিচে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ছবি: আগামীকাল সোমবার সকাল ৬ টার সময়কার কুয়াশার সম্ভাব্যতার মানচিত্র, আবহাওয়া বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম “ফগ স্টাবিলিটি ইনডেক্স” (যে স্থানে রং যত বেশি লাল সেই স্থানে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা তত বেশি)।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ফগ স্টাবিলিটি ইনডেক্স এর মান ৩১ এর কম হলে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা; ৩১ থেকে ৫৫ এর মধ্য থাকলে হালকা থেকে মাঝারি মানের কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা ও ৫৫ এর বেশি হলে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম নির্দেশ করে।
আগামী ৩ দিনের (বুধবার পর্যন্ত) কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ পূর্বাভাস
আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো হতে প্রাপ্ত জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখের পূর্বাভাস অনুসারে দেশব্যাপী চলমান কুয়াশার বিস্তার আগামীকাল সোমবার থেকে দ্রুত কমা শুরু করবে। তবে কুয়াশার প্রকোপ কমার প্রথমে শুরু করবে খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। অর্থাৎ, আগামীকাল সোমবার সকাল থেকে এই ৩ বিভাগের অপেক্ষাকৃত কম ঘনত্বের কুয়াশার উপস্থিতি দেখা যাবে। তবে আগামীকাল সোম ও মঙ্গলারও দেশের উত্তর-পূর্ব দিকের বিভাগুলোর সকল জেলার উপরে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার উপস্থিতি দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৭ ই জানুয়ারি সকালে দেশের বেশিভাগ জেলা কুয়াশা মুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৭ ই জানুয়ারি দুপুরের পর থেকে ১৯ ই জানুয়ারি দুপুর এর মধ্যে দেশব্যাপী উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টিপাত পূর্বাভাসের বিস্তারিত দুপুর ২ টার পরে দেওয়া হবে আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস বিশ্লেষণ করে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপরে রবিবার (জানুয়ারি ১৪) ও সোমবার (জানুয়ারি ১৫) কুয়াশা পূর্বাভাস
আজ রবিবার সকাল ৬ টার সময় পশ্চিমবঙ্গের মধ্য ও উত্তর দিকের সকল জেলার উপরে ৪র্থ দিনের মতো মাঝারি থেকে ভারি কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে। আজ রবিবারও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার, আলিপুর দুয়ার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার উপরে মাঝারি থেকে ভারি কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে।
আজ রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে আগামীকাল সোমবার সকাল ১০ টার মধ্যে আবারও পশ্চিমবঙ্গের সর্ব উত্তর ও সর্ব দক্ষিণ দিকের সকল জেলার উপরে (দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার, আলিপুর দুয়ার, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা) মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়ার থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সন্ধ্যার পরে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোর উপরে কুয়াশা না থাকা কিংবা খুবই হালকা পরিমাণে কুয়াশার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ রাতেও কোকলাতা শহরে আশপাশে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সর্ব উত্তরের জেলাগুলোতে আগামীকাল সোমবার দুপুর ১২ টার পূর্বে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
সর্ব-ভারতীয় কুয়াশা অবস্থা (জানুয়ারি ১৪, ২০২৪)
আজ রবিবার সকাল ৬ টা বেজে ৩০ মিনিটের সময় আবারও ভারতের কাশ্মীর থেকে শুরু করে পূর্বে আসাম পর্যন্ত হিমালয় পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত প্রত্যেকটি রাজ্যের উপরে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার বিস্তার লক্ষ করা গেছে। আজ রবিবার অপেক্ষাকৃত হালকা ঘনত্বের কুয়াশার উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে উত্তর প্রদেশ রাজ্যের উপরে। ভারত, জাপান ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন সেন্সর দ্বারা সংগৃহীত কুয়াশার ((Visible, Dust RGB and Day Microphysics)) চিত্র ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪।
ছবি: ভারতীয় আবহাওয়া বিষয়ক কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ INSAT-3D এর ক্যামেরা দারা সংগৃহীত কুয়াশার ছবি (বাংলাদেশ সময় রবিবার সকাল ৬ টা বেজে ৩০ মিনিটে) ভারতীয় উপমহাদেশের উপরে। যে স্থানে রং যত বেশি লাল, সেই স্থানে কুয়াশার ঘনত্ব তত বেশি।
ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহারের শর্তাবলী
১) এই ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত কোন তথ্য কোন প্রকাশনায় (যেমন, সংবাদ পত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, ফেসবুক, ব্লগ) ব্যবহার করলে আবহাওয়া ডট কম ওয়েবসাইটের নাম কিংবা মোস্তফা কামাল পলাশ (আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক, সাস্কাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, সাসকাটুন, কানাডা) এর নাম তথ্য সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা আবশ্যক।
২) এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত সকল আবহাওয়া পূর্বাভাস বেসরকারি তথ্য হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নীতি নির্ধারণই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওয়বেসাইটের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি দায়ী থাকিবে না।