মঙ্গলবারের (জানুয়ারি ১৬) আবহাওয়া পূর্বাভাস: বৃহঃপতিবার সকালে দেশের সকল জেলা কুয়াশা মুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (জানুয়ারি ১৬, ২০২৪) সকাল ৬ টা বেজে ৩০ মিনিটের সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত কুয়াশার চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে আজও দেশের ৮ টি বিভাগের বেশিভাগ জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিলও। তবে গতকাল সোমবার অপেক্ষা আজ মঙ্গলবার কুয়াশার ঘনত্ব আরও কমেছে দেশব্যাপী। আজ সকালে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, কক্সবাজার, বান্দরবন, ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম জেলার উপরে কুয়াশার উপস্থিতি দেখা যায় নি কিংবা কুয়াশার পরিমাণ ছিলও খুবই নগণ্য পরিমাণে।
আজ মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে রংপুর বিভাগের সকল জেলায়, খুলনা বিভাগের দক্ষিণের জেলাগুলো, চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তরের জেলাগুলোর উপরে। ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর ও ময়মনসিংহ জেলা ও ঢাকা বিভাগের গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলার উপরে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাক্ষমণবাড়িয়া জেলার উপরেও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে। আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, ও সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ,, মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার কোন কোন উপজেলার উপরে। সবচেয়ে বেশি ঘনত্বের কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে জামালপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, ব্রাক্ষমণবাড়িয়া জেলার উপরে।
ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে (সকাল ৬ টা বেজে ৩০ মিনিটের সময়, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪) বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার উপরে কুয়াশার বিস্তার দেখা যাচ্ছে ।
আজ মঙ্গলবারের দুপুর ২ টার কুয়াশার চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে এখন পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার উপস্থিতি রয়েছে রংপুর, রাজশাহী, ও খুলনা বিভাগের বেশিভাগ জেলার উপরে। এছাড়া ঢাকা ও সিলেট বিভাগের ২/৩ টি জেলার উপরে কুয়াশার উপস্থিতি রয়েছে।
রংপুর বিভাগ: রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর উপরে দুপুর ২ টার পূর্বে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
রাজশাহী বিভাগ: রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ জেলার উপরে দুপুর ১ টার মধ্যে ও অন্যান্য জেলাগুলোর উপরে দুপুর ৩ টার মধ্যে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খুলনা বিভাগ: দুপুর ১ টার মধ্যে খুলনা বিভাগের সকল জেলার উপরে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল ১১ টার মধ্যে খুলনা বিভাগের উত্তর দিকের জেলাগুলোর উপরে থেকে কুয়াশা সরে গিয়ে সূর্যের আলো দেখা যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। দুপুর ১ টার মধ্যে খুলনা বিভাগের দক্ষিণের সকল জেলার উপরে থেকে কুয়াশা সরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকা বিভাগ: ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী ছাড়া অন্য সকাল জেলার উপরে দুপুর ১ টার মধ্যে সূর্যের আলো দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ময়মনিসংহ বিভাগ: দুপুর ১২ টার মধ্যে নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলার উপরে সূর্যের আলো দেখার সম্ভাবনা রয়েছে। দুপুর ৩ টার পূর্বে জামালপুর ও শেরপুর জেলার উপরে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
সিলেট বিভাগ: দুপুর ১২ টার মধ্যে সিলেট বিভাগের সকল জেলার উপরে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগ: মধ্য ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবন, রাঙ্গামাটি জেলা সকাল ১১ টার মধ্যে কুয়াশা মুক্ত হয়েছে। দুপুর ১ টার মধ্যে উত্তর চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি জেলার উপরে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যান্য সকল জেলার উপরে (কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাক্ষমণবাড়িয়া) দুপুর ৩ টার পূর্বে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম।
বরিশাল বিভাগ: দুপুর ১ টা থেকে ৩ টার মধ্যে বরিশাল বিভাগের সকল জেলার উপরে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বরিশাল ও বরগুনা জেলার উপরে দুপুর ১ টার মধ্যে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে (সকাল ১১ টা বেজে ৩০ মিনিট, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪) বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার উপরে কুয়াশার বিস্তার দেখা যাচ্ছে ।
মঙ্গলবারের, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪ দেশের উল্লেখযোগ্য শহর ও স্থানগুলোতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড (সকাল ৬ টার সময়)
আজ মঙ্গলবারের সকাল ৬ টার সময় দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলায় ১১ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দিনাজপুর জেলায় সকাল ৬ টার সময় ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৬ টার চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যশোর জেলায় সকাল ৬ টার সময় ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাজশাহী জেলায় ভোর ৬ টার সময় ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকা বিমানবন্দরে ভোর ৬ টার সময় ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বরিশালে ভোর ৬ টার সময় ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আজ সকাল ৬ টার সময় পুরো দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলায় ১১ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৬ টার সময় পুরো দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেট জেলায় ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোর জেলায় ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
আজ মঙ্গলবারের, ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বায়ু-দূষণের মানচিত্র
আজ মঙ্গলবারের, ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ পুরো বিশ্বে সবচেয়ে দুষিত শহর হিসাবে ঢাকা শহরের অবস্থান ছিল ২ নম্বরে (সকাল ১০ টার সময় পাওয়া তথ্য অনুসারে)। আজ সকাল ১০ টার সময় ঢাকা শহরের ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার (পিএম ২.৫) বা তার চেয়ে কম ব্যাসার্ধের পার্টিকুলেট ম্যাটারের গড় ঘনত্ব রেকর্ড করা হয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ১৮৪। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্রহণযোগ্য মাত্রা অপেক্ষা প্রায় ১৮ গুন বেশি।
ছবি: বিশ্বের বড়-বড় শহরগুলোর বায়ুর গুনগত মানের (কোন শহরের বায়ুর মধ্যে ধূলিকণা-বালুকণা সহ অন্যান্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পদার্থের পরিমাণ) মানচিত্র। ছবি কৃতজ্ঞতা: সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক সংস্থা আই কিউ এয়ার (IQAir)
বিশেষ দ্রষ্টব্য: বায়ুদূষণ পরিমাপের জন্য যে সূচক ব্যবহার করা হয় তা হলও, প্রতি ঘনমিটারে পার্টিকুলেট ম্যাটারের পরিমাণ। এক ঘনমিটারের মধ্যে কত মাইক্রোগ্রাম পার্টিকুলেট ম্যাটার আছে। পার্টিকুলেট ম্যাটার হলও— বাতাসের মধ্যে ধূলিকণা, ময়লা, আবর্জনা, লতাপাতার ভগ্নাংশ, ফুলের রেণু ইত্যাদি। সাইজ অনুসারে পার্টিকুলেট ম্যাটারকে দুভাগে ভাগ করা হয়— ব্যাসার্ধ ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার (পিএম ২.৫) বা তার চেয়ে কম ও পিএম ১০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে কম। ১ মাইক্রোমিটার হলও ১ মিটারের ১০ লক্ষ ভাগের এক ভাগ বা ১ মিলিমিটারের ১ হাজার ভাগের এক ভাগ।
ঢাকা শহরের কোন স্থানের বায়ু-দূষণের পরিমাণ কেমন ছিল?
ঢাকা শহরে অস্হিত আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে যা International Centre for Diarrheal Disease Research, Bangladesh (icddr,b) নামে পরিচিত সেই সংস্থা পরিচিত বায়ুদূষণ যন্ত্রে ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার (পিএম ২.৫) বা তার চেয়ে কম ব্যাসার্ধের পার্টিকুলেট ম্যাটারের গড় ঘনত্ব রেকর্ড করা হয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ২৫০ (সকাল ১০ টার সময়)।
মঙ্গলবার (১৬ ই জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে বুধবার (১৭ ই জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা পূর্বাভাস
আজ মঙ্গলবারের সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে বুধবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপরে হালকা থেকে মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। রংপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপরে দুপুর ১২ টার মধ্যে সূর্যের আলো দেখতে পাওয়া প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সন্ধ্যার পর থেকে আগামীকাল সকাল ৮ টা পর্যন্ত খুবই হালকা পরিমাণে কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। আগামীকাল বুধবার সকাল ১০ টার পূর্বের সূর্যের আলো দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। আগামীকাল সকাল ৮ টার পরে কুয়াশা না থাকার সম্ভাবনা বেশি খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর উপরে।
মঙ্গলবারের দিবাগত রাতে মহাসড়কে বাস-ট্রাক চলাচল ঝুঁকি ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা
আজ মঙ্গলবারের দিবাগত রাতে (পুরো রাত) হালকা থেকে মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ বিভাগের সকল জেলা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তরের জেলাগুলোর উপরে।
আজ মঙ্গলবারের দিবাগত রাতে নৌ-পরিবহন ঝুঁকি ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা
আজ মঙ্গলবারের দিবাগত রাতে (রাত ১০ টার পর থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত) হালকা থেকে মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশায় ঢাকা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে দেশের বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের সকল নৌপথে। আজ রাতে যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা নদীর নৌপথের দৃষ্টিসীমা ৫০০ থেকে ১০০০ মিটার এর নিচে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ছবি: আগামীকাল বুধবার সকাল ৬ টার সময়কার কুয়াশার সম্ভাব্যতার মানচিত্র, আবহাওয়া বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম “ফগ স্টাবিলিটি ইনডেক্স” (যে স্থানে রং যত বেশি লাল সেই স্থানে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা তত বেশি)।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ফগ স্টাবিলিটি ইনডেক্স এর মান ৩১ এর কম হলে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা; ৩১ থেকে ৫৫ এর মধ্য থাকলে হালকা থেকে মাঝারি মানের কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা ও ৫৫ এর বেশি হলে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম নির্দেশ করে।
আগামী ৩ দিনের (বৃহঃপতিবার পর্যন্ত) কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ পূর্বাভাস
আগামী বুধবার সকালে পুরো দেশের সকল জেলায় সকাল ৬ টার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াসের উপরে থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আগামীকাল সকালে দেশের কোন জেলায় শৈত্যপ্রবাহের তাপমাত্রা না থাকার সম্ভাবনা বেশি। তবে আগামীকাল বুধবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই ৪ টি বিভাগে কোন-কোন জেলার উপরে অপেক্ষাকৃত ঘন কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বুধবার সকাল ৮ টার মধ্যে কুয়াশা মুক্ত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে খুলনা ও সিলেট বিভাগের সকল জেলা।
১৭ ই জানুয়ারি দুপুরের পর থেকে ১৯ ই জানুয়ারি দুপুর এর মধ্যে দেশব্যাপী উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টিপাত পূর্বাভাসের বিস্তারিত দুপুর ৩ টার পরে আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস বিশ্লেষণ করে পৃথক ভাবে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস প্রকাশ করা হবে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপরে মঙ্গলবারের (জানুয়ারি ১৬) ও বুধবার (জানুয়ারি ১৭) কুয়াশা পূর্বাভাস
আজ মঙ্গলবারের সকাল ৬ টা বেজে ৩০ মিনিটের সময় পুরুলিয়া জেলা ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের সকল জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে। আজ মঙ্গলবারও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার, আলিপুর দুয়ার জেলার উপরে কুয়াশার ঘনত্ব ছিলও অপেক্ষাকৃত বেশি।
আজ মঙ্গলবারের সন্ধ্যার পর থেকে আগামীকাল বুধবার সকাল ১০ টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সর্ব উত্তর দিকের সকল জেলার উপরে (দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার, আলিপুর দুয়ার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, বর্ধমান, ও মুর্শিদাবাদ জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়ার থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আজ রাতে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণের জেলাগুলোর উপরে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম। পশ্চিমবঙ্গের সর্ব উত্তরের জেলাগুলোতে আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২ টার মধ্যে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সর্ব-ভারতীয় কুয়াশা অবস্থা (জানুয়ারি ১৬, ২০২৪)
আজ মঙ্গলবারের সকাল ৬ টা বেজে ৩০ মিনিটের সময় হিমালয় পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত রাজ্যের উপরে কুয়াশার ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে এসেছে। আজ সকালে উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড রাজ্যের উত্তরের কিছু জেলা, আসাম ও পশ্চিম বঙ্গের উপরে কুয়াশার বিস্তার লক্ষ করা গেছে। পশ্চিমা লঘু চাপের প্রভাবে উত্তর-পশ্চিম দিকের রাজ্যগুলো কুয়াশা মুক্ত ছিলও আজ সকালে। ভারত, জাপান ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন সেন্সর দ্বারা সংগৃহীত কুয়াশার ((Visible, Dust RGB and Day Microphysics)) চিত্র (১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪) থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের উপরে কুয়াশার বিস্তার লক্ষ করা যাচ্ছে।
ছবি: ভারতীয় আবহাওয়া বিষয়ক কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ INSAT-3D এর ক্যামেরা দারা সংগৃহীত কুয়াশার ছবি (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোর ৫ টা) ভারতীয় উপমহাদেশের উপরে। যে স্থানে রং যত বেশি লাল, সেই স্থানে কুয়াশার ঘনত্ব তত বেশি।
ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহারের শর্তাবলী
১) এই ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত কোন তথ্য কোন প্রকাশনায় (যেমন, সংবাদ পত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, ফেসবুক, ব্লগ) ব্যবহার করলে আবহাওয়া ডট কম ওয়েবসাইটের নাম কিংবা মোস্তফা কামাল পলাশ (আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক, সাস্কাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, সাসকাটুন, কানাডা) এর নাম তথ্য সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা আবশ্যক।
২) এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত সকল আবহাওয়া পূর্বাভাস বেসরকারি তথ্য হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নীতি নির্ধারণই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওয়বেসাইটের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি দায়ী থাকিবে না।