সোমবারের (মার্চ ১১, ২০২৪) আবহাওয়া পূর্বাভাস: মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে সিলেটের হাওড় এলাকায় পাহাড়ি ঢলের সম্ভাবনা
আজ সোমবার (মার্চ ১১, ২০২৪) সকাল ১১ টা বেজে ৩০ মিনিট সময়কার কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত দৃশ্যমান চিত্র বিশ্লেষণ করে ৩য় দিনের মতো বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ঝড়খন্ড, ও বিহার রাজ্যের আকাশে সম্পূর্ণ রূপে মেঘের অনুপস্থিতিও দেখতে পাওয়া গেছে। আজও দিনের অবশিষ্ট সময়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের আকাশ মেঘ-মুক্ত অবস্থায় থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
ছবি: কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত সকাল ১১ টা বেজে ৩০ মিনিট সময়কার দৃশ্যমান চিত্র।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত বায়ুচাপের বিচ্যুতির মানচিত্র বিশ্লেষণ করে পূর্ব-ভারত ও বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ আকাশ জুড়ে (ভূ-পৃষ্ঠের কাছা-কাছি স্থানে) বায়ুর উচ্চ-চাপ অবস্থা বিরাজ করার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
২০০ মিলিবার বায়ুচাপের চিত্র বিশ্লেষণ করে উর্ধ আকাশ থেকে অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা ও ভারি বাতাসের নিচের দিকে পড়ার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে যা ভূ-পৃষ্ঠের কাছা-কাছি স্থানে বায়ুর উচ্চ-চাপ অবস্থা বিরাজ করার প্রমাণ দেয়।
ছবি: আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত ১১ মার্চের বায়ুচাপের বিচ্যুতির মানচিত্র।
আজ সোমবার সকাল ১১ টার পর থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার মধ্যে বাংলাদেশের কোন জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
সোমবার সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও আগামীকাল মঙ্গলবার সকালের কুয়াশা পূর্বাভাস
——-> আজ সোমবার পুরো দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোর জেলায় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
——-> গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপরে বৃষ্টিপাত ও কুয়াশা পূর্বাভাস
আজ সোমবার সকাল ১১ টার পর থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলার উপরে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
আগামী ১৫ দিনের বৃষ্টিপাত পূর্বাভাস (২৭ শে মার্চ পর্যন্ত)
আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো হতে প্রাপ্ত আগামী ১৫ দিনের পূর্বাভাস অনুসারে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর উপরে একাধিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে পশ্চিমা লঘু চাপের প্রভাবে। প্রথম বৃষ্টিপাতটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ১৪ থেকে ১৭ ই মার্চের মধ্যে। এই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপরে।
এর পরে শক্তিশালি পশ্চিমা লঘুচাপ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপরে দিয়ে অতিক্রম করার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে মার্চ মাসের ২১ তারিখের পর থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে। এই লঘু চাপটির প্রভাবে বাংলাদেশের সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উপরে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জি নামক স্থানে ভারি বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে যার কারণে পাহাড়ি ঢলের পানিতে সিলেট ও কিশোরগঞ্জের হাওড় এলাকার বিলগুলো পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে আগামী ১৪ থেকে ১৭ ই মার্চ পর্যন্ত সর্বমোট সম্ভব্য বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
উপরে উল্লেখিত পূর্বাভাস আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল, রাডার ও কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি করা হয়েছে। কোন স্থানের আবহাওয়া ১ থেকে ৩ ঘন্টার ব্যবধানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পরিবর্তন হতে পারে।
ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহারের শর্তাবলী
১) এই ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত কোন তথ্য কোন প্রকাশনায় (যেমন, সংবাদ পত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, ফেসবুক, ব্লগ) ব্যবহার করলে আবহাওয়া ডট কম ওয়েবসাইটের নাম কিংবা মোস্তফা কামাল পলাশ (আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক, সাস্কাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, সাসকাটুন, কানাডা) এর নাম তথ্য সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা আবশ্যক।
২) এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত সকল আবহাওয়া পূর্বাভাস বেসরকারি তথ্য হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নীতি নির্ধারণই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওয়বেসাইটের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি দায়ী থাকিবে না।