রবিবারের (নভেম্বর ১২, ২০২৩) আবহাওয়া পূর্বাভাস

আজ ১২ ই নভেম্বর রবিবার সকাল ৯ টার সময় ঢাকা বিমানবন্দরের আবহাওয়া স্টেশনে বায়ুচাপ পরিমাপ করা হয়েছে ১০১৮ হেক্টপেসকেল বা ১০১৮ মিলিবার। এখানে উল্লেখ্য যে ভূ-পৃষ্ঠের কাছা-কাছি উচ্চতায় ১০০০ হেক্টপেসকেল বা ১০০০ মিলিবার কে বায়ুর স্বাভাবিক অবস্থা হিসাবে গণ্য করা হয়। বায়ুর চাপ ১০০০ মিলিবার অপেক্ষা বেশি থাকলে সেই স্থানে বায়ুর উচ্চচাপ অবস্থা ও ১০০০ মিলিবার অপেক্ষা কম বায়ুচাপ থাকলে সেই স্থানে বায়ুর নিম্নচাপ অবস্থা বিরাজ করে।

আজ ১২ ই নভেম্বর, রবিবার, সকাল ৯ টা বেজে ৫০ মিনিটের সময় জাপান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত দৃশ্যমান চিত্র (visible imagery) বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, আসাম, মেঘালয় রাজ্যের আকাশে মেঘের কোন উপস্থিতি নেই। বিশাল এলাকা জুড়ে মেঘমুক্ত আকাশ অবস্থা সৃষ্টি হয় যখন কোন স্থানের বায়ুমণ্ডলের ঊর্ধ্ব আকাশে বায়ুর নিম্নচাপ ও ভূ-পৃষ্ঠের কাছা-কাছি স্থানের উপরে বায়ুর উচ্চ চাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

ছবি: জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত (সকাল ১০ টা বেজে ৩০ মিনিট) মেঘের চিত্র বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর উপর

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্ট সিস্টেম নামক আবহাওয়া মডেল (ECMWF Integrated Forecasting System) হতে প্রাপ্ত আবহাওয়া পূর্বাভাস বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে আজ রবিবার সকাল ১০ টার পর আগামীকাল সোমবার সকাল ১০ টার মধ্যে বাংলাদেশের কোন জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভাবনা নাই।

রবিবার সকাল ১০ টা থেকে সোমবার সকাল ১০ টার মধ্যে বাংলাদেশের উপর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পূর্বাভাস

আজ রবিবার দেশের বেশিভাগ জেলার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩১ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে (দুপুর ২ টা থেকে ৩ টার মধ্যে)। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠার সম্ভাবনা রয়েছে ঢাকা ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। আগামীকাল সোমবার সকাল ৬ টার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে।

বঙ্গোপসাগরের উপরের ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা

উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে বাংলাদেশ ও ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বায়ুর উচ্চ-চাপ অবস্থা বিরাজ করতেছে গত ১ সপ্তাহ ধরে। বায়ুমণ্ডলের ঊর্ধ্ব আকাশে বায়ুর নিম্নচাপ অবস্থা বিরাজ করলে বায়ুমণ্ডলের উপর থেকে শুষ্ক ও ঠাণ্ডা বায়ু স্থল ভাগের উপরে নেমে আসে ও মেঘ সৃষ্টিতে বাধা প্রদান করে। এই একই সময় স্থল ভাগের কাছা-কাছি সমুদ্রের উপরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত ৯ ই নভেম্বর আবহাওয়া ডট কমের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে যে “আগামী ১৪ থেকে ১৬ ই নভেম্বরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।” আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে সম্ভব্য এই ঘূর্ণিঝড়টি ১৬ থেকে ১৭ ই নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশের উপরে সোমবার সকাল বেলার কুয়াশা পূর্বাভাস

আজ রবিবার মধ্য রাতের পর থেকে আগামীকাল সোমবার সকাল ৮ টার মধ্যে রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপর কুয়াশা পড়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, কুমিল্লা, ব্রাক্ষমণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ টি জেলার উপর কুয়াশা পড়ার প্রবল প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। কুয়াশার ঘনত্ব বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ টি জেলার উপর।

পশ্চিমবঙ্গের উপর বৃষ্টিপাত পূর্বাভাস

আজ রবিবার সকাল ১১ টার পর থেকে আগামীকাল সোমবার সকাল ১১ টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলার উপর বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোর উপরে আগামীকাল সোমবারের কুয়াশা পূর্বাভাস

আজ রবিবার মধ্যরাতের পর থেকে আগামীকাল সোমবার সকাল ৮ টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলাগুলোর উপরে হালকা থেকে মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশা পড়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে মালদহ, বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদ জেলার উপরে।

৩ দিনের বৃষ্টিপাত পূর্বাভাস (নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত)

আজ রবিবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্ট সিস্টেম নামক আবহাওয়া মডেল (ECMWF Integrated Forecasting System) হতে প্রাপ্ত আবহাওয়া পূর্বাভাস বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে আগামী বুধবার পর্যন্ত (আগামী ৩ দিন) বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জেলার মধ্যে শুধু চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ টি জেলার উপরেই সামান্য পরিমাণে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে (৫ থেকে ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত)।