ঢাকা শহরে সকাল ১১ টার পর থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত একনাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে; সেই সাথে অন্য ৬ বিভাগের জেলাগুলোতে।
আজ বৃহঃপতিবার ঢাকা শহরে সকাল ১১ টার পর থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত একনাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে; সেই সাথে অন্য ৬ বিভাগের জেলাগুলোতে। বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিাভগের সকল জেলায়, রাজশাহী বিভাগের বেশিভাগ জেলায় ও রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর জেলায় বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁ ও পঞ্চগড় জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম। বৃষ্টিহলেও খুবই কম পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই ৩ জেলায়।
-----> মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার উপরে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির ও হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে আজ দুপুর ১ টার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
-----> গাজীপুর, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ জেলার উপর হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে আজ দুপুর ১ টার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
আপনাদের হয়ত মনে আছে যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার কথা পূর্বাভাস করেছিলাম গত ৩১ শে মে, ২০২৩ তারিখে। গত ৩১ শে মে দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছিলাম যে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে ২ টি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জুন মাসের ২য় সপ্তাহে। এই দুই সাগরের মধ্যে প্রথম যে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হবে তার নাম হবে বিপর্যয় (Biparjoy) ও দ্বিতীয় যে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হবে তার নাম হবে তেজ। সেই সাথে জানিয়েছিলাম যে "বঙ্গোপসাগরে (৬ থেকে ৯ জুনের মধ্যে) একটি লঘু চাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবন রয়েছে"। আরব সাগরের ঝড়টি প্রথমে সৃষ্টি হয়েছে যার নাম হয়েছে বিপর্যয় (Biparjoy) ও আগামী ১৪ ই জুন ওমানের পূর্ব উপকূল দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। উপরের পূর্বাভাস অনুসারে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি দুর্বল লঘুচাপটি সৃষ্টি হয়েছে গতকাল ৭ ই জুন, ২০২৩ তারিখে।
সৌভাগ্যক্রমে এই লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। লঘু লঘুচাপটির অগ্রবর্তী অংশ গতকাল মধ্যরাতের পর থেকে ভোলা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম জেলার উপর দিয়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে স্থল ভাগ অতিক্রম করা শুরু করেছে। আজ ৮ ই জুন যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতে সেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে উপরে উল্লেখিত লঘুচাপের অগ্রবর্তী অংশের কারণে।