একটি বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট যা বাংলা ভাষায় আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে একাধিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ ও রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

Breaking News :
ভূমিকম্প

ভূমিকম্প: ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প সংগঠিত হয়েছে ভারত ও মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায়।

Blog Image
Email : 109k 12k

ভূমিকম্প: আজ বুধবার ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প সংগঠিত হয়েছে ভারতের মনিপুর রাজ্যে ও মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায়। 


আজ বুধবার সকাল ১১ টে বেজে ৩৬ মিনিটের সময় বাংলাদেশে যে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে তার উৎপত্তি স্থল ছিল ভারতের মনিপুর রাজ্যে ও মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায়। আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে আজকের ভূমিকম্পটির মান ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৪।  আজকের ভূমিকম্পটির কেন্দ্রও ছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮৭ কিলোমিটার গভীরে।  

ভূমিকম্পটির উৎপত্তি স্থল ছিল মনিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্পাল শহর থেকে পূর্ব দিকে, ওয়াংজিং শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার পূর্ব দিকে।



এখানে উল্লেখ্য ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখ রাতে বাংলাদেশ সময় ২ টা বেজে ৫৫ মিনিটের সময় ৫ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প সংগঠিত হয়েছিল ভারতের আসাম রাজ্যের রাজধানী গোয়াহাটি থেকে ৫৪ কিলোমিটার দূরে, খারুপাতিয়া নামক শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল ঢাকা শহর থেকে ৩৫১ কিলোমিটার দূরে। আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ভূমিকম্পটির মান ছিল ৫ দশমিক ৩। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।



ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ রাত ৩ টা বেজে ৫ মিনিটের সময় বাংলাদেশে আর একটি ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে যার উৎপত্তি স্থল ছিল নেপালের রাজধানী কা ঠমুন্ড শহরের খুব কাছে। আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ভূমিকম্পটির মান ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৫। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি স্থল ছিল নেপালের কোদারি শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে। নেপালের কাঠমুন্ডু শহরের কাছে সংগঠিত ভূমিকম্পটির কেন্দ্রও ছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।  



বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভূ-মিকম্পের ঝুঁকি বেড়ে গেছে কিছুটা

মাত্র ৮ দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশের ৩ টি ভূমিকম্প অনুভূত হলও যে ৩ টি ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশের ৩ দিকে (পশ্চিম, উত্তর ও পূর্ব)। ৩ টি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে থেকে প্রায় ৩০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরত্বে। যেহেতু ৩ টি ভূমিকম্প সংগঠিত হয়েছে বাংলাদেশের ৩ দিকে তার আশংকা করা যাচ্ছে যে ৩ টি ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট তরঙ্গ শক্তির প্রভাব এসে জমা হয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ফল্ট বা বিচ্যুতিগুলোর উপরে। ফলে এই ফল্টগুলোর মধ্যে কিছুটা অস্থিতিশীল সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। বিশেষ করে বাংলাদেশের সিলেট, ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফল্ট বা বিচ্যুতিগুলোর উপরে অপেক্ষাকৃত বেশি অস্থিতিশীল সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। ফলে আগামী ১ মাসের মধ্যে ৩ থেকে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প সংগঠিত হওয়ার আশংকা অনেক বেরে গেছে।     

Related Post