ঘূর্ণিঝড় মিধিলি খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলে আঘাত করতে যাচ্ছে আজ শুক্রবার ভোর ৫ থেকে দুপুর ৩ টার মধ্যে
(আপডেট ১১, ভোর ৫ টা, ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৩)
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টির নাম “মিধিলি” সৃষ্টি হয়েছে। আমেরিকার নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটির পূর্নাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া নিশ্চিত করেছে। ঘূর্ণিঝড়টির নাম “মিধিলি”। এই নামটি মালদ্বীপের দেওয়া। জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে পাওয়া সর্বশেষ চিত্র ও তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আজ শুক্রবার ভোর ৫ টার পর থেকে দুপুর ৩ মধ্যে বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মধ্যবর্তী জেলাগুলোর উপর দিয়ে স্হল ভাগে আঘাত করে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ও বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করার সম্ভাবনা বেশি।
বর্তমানে যে পথে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি সেই পথে যাত্রা অব্যাহত থাকলে প্রায় ৯০% এর বেশি নিশ্চয়তা সহকারে পূর্বাভাস করা যায় যে গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্রে বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর উপর দিয়ে অতিক্রম করতে যাচ্ছে সরাসরি। তবে ঘূর্ণিঝড়টির বাম পাশের অংশ খুলনা বিভাগের বাগের হাট ও খুলনা জেলার উপর দিয়ে ও ডান পাশের অংশ নোয়াখালী, ফেনী ও উত্তর চট্টগ্রামের উপর দিয়ে অতিক্রম করার সম্ভাবনা বেশি। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বরিশাল বিভাগের বরগুনা, পটুয়াখালী, ও ভোলা জেলার উপর দিয়ে স্থল ভাগে প্রবেশ করার আশংকা করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশের উপকূলে আঘাতের সম্ভাব্য সময়: ১৭ ই নভেম্বর, শুক্রবার সকাল ৬ টার পর থেকে দুপুর ৩ টার মধ্যে।
বাতাসের সম্ভব্য গড় গতিবেগ: ঘন্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার
বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ (দমকা হাওয়া): ঘন্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার
জলোচ্ছ্বাসের সম্ভব্য উচ্চতা: স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি
বৃষ্টিপাতের সম্ভব্য পরিমাণ (১৬ ই নভেম্বর মধ্য রাতের পর থেকে ১৮ ই নভেম্বর দুপুর ১২ টা পর্যন্ত):
১) বরিশাল বিভাগের জেলাগুলো: ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার
২) খুলনা বিভাগের জেলাগুলো: ১৫০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার
৩) ঢাকা বিভাগের জেলাগুলো: বিভাগ ১৫০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার
৪) চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলো: ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটার
৫) সিলেট বিভাগের জেলাগুলো ৭৫ থেকে ১৫০ মিলিমিটার
৬) রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলো: ২৫ থেকে ৫০ মিলিমিটার
৭) ময়মনিসংহ বিভাগের জেলাগুলো: ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার
৮) রংপুর বিভাগের জেলাগুলো: ২০ থেকে ৪০ মিলিমিটার।
গাভীর নিম্নচাপটি প্রভাবে বাংলাদেশের উপর বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে শনিবার দুপুর পর্যন্ত। গভীর নিম্নচাপের কারণে সর্বোচ্চ পরিমাণের বৃষ্টিপাতের ঝুঁকিপূর্ণ জেলাসমূহ নিম্নরূপ:
সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, নড়াইল, ফরিদপুর, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, মুন্সিগন্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ব্রাক্ষমবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি, ও চট্টগ্রাম জেলা।
ছবি বর্ণনা: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্ট সিস্টেম নামক আবহাওয়া মডেল (ECMWF Integrated Forecasting System) হতে প্রাপ্ত সম্ভব্য নিম্নচাপটির ৫১ টি সম্ভব্য যাত্রাপথ ও বাতাসের গতিবেগের চিত্র। এই চিতটিকে আবহাওয়া বিজ্ঞানের ভাষায় এনসেম্বল আবহাওয়ার পূর্বাভাস (Ensemble weather forecast) বলা হয়।
ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহারের শর্তাবলী
১) এই ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত কোন তথ্য কোন প্রকাশনায় (যেমন, সংবাদ পত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, ফেসবুক, ব্লগ) ব্যবহার করলে আবহাওয়া ডট কম ওয়েবসাইটের নাম কিংবা মোস্তফা কামাল পলাশ (আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক, সাস্কাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, সাসকাটুন, কানাডা) এর নাম তথ্য সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা আবশ্যক।
২) এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত সকল আবহাওয়া পূর্বাভাস বেসরকারি তথ্য হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নীতি নির্ধারণই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওয়বেসাইটের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি দায়ী থাকিবে না।