ঘূর্ণিঝড় (সম্ভব্য) রেমাল আপডেট ১১ (বৃহঃপতিবার, ২৩ শে মে, ২০২৪): খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলে আঘাতের আশংকা ২৬ শে মে
আজ ২৩ শে মে বিশ্বের প্রধান-প্রধান আবহাওয়া পূর্বাভাসের মডেল থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন সূচক বিশ্লেষণ করে পাওয়া তথ্য অনুসারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলার মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে ২৬ শে মে সকাল ৬ টার পর থেকে ২৭ শে মে দুপুর ১২ টার মধ্যে।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর দপ্তর আজ দুপুর ৩ টার দিকে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর একটি সম্ভব্য গতিপথ প্রকাশ করেছে যা নির্দেশ করতেছে ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলে আঘাত করার সম্ভাবনা কথা ২৬ শে মে, ২০২৪। এখানে উল্লেখ্য যে আব হাওয়া ডট কমে প্রকাশিত ২১ শে মে এর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল যে ঘূর্ণিঝড় রেমাল ২৬ শে মে বরিশাল বিভাগের উপকূলের উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনার কথা।
ছবি কৃতজ্ঞতা: ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর
সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর সর্বশেষ অবস্থা (২৩ শে মে সন্ধা ৭ টা পর্যন্ত)
গতকাল বুধবার বঙ্গোপসাগরে যে লঘুচাপটি সৃষ্টি হয়েছিল তা গত ২৪ ঘন্টায় কিছুটা শক্তিশালি হয়েছে সেই সাথে লঘুচাপটির চার-পাশের অবস্থিত মেঘগুলো আরও কাছা-কাছি এসে সু-সংগঠিত হয়ে আজ বৃহঃপতিবার সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। জাপানের হিমাওয়ারি নামক কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত মেঘের শীর্ষের তাপমাত্রার চিত্র ও মেঘের গঠন বিশ্লেষণ করে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে আজ বৃহঃপতিবার ২৩ শে মে, ২০২৪ তারিখে দুপুর ১২ টার সময় দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে ভারতের আন্দামান ও নিকবার দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে (ব্লেয়ার বন্দরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে) অবস্থান করছে।
ছবি: জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে আজ ২৩ শে মে, সন্ধা ৭ টার সময় প্রাপ্ত মেঘের শীর্ষের তাপমাত্রার মানচিত্র। যে স্হানে মেঘের শীর্ষের তাপমাত্রা যত বেশি ঋনাত্নক সেই স্হানে মেঘের উচ্চতা তত বেশি ও সেই স্হানে তত বেশি পরিমানে বৃষ্টি হচ্ছে।
আগামী ২৪ ঘন্টা সু-স্পষ্ট লঘুচাপটি কিছুটা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার ২৪ শে মে দুপুর ১২ টার মধ্যে সু-স্পষ্ট লঘুচাপটি আরও সংগঠিত ও শক্তিশালি হয়ে নিম্নচাপে ও মধ্য-রাতের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি ২৫ শে মে পূর্নাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে রেমাল। এই নামটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের দেওয়া।
নিম্নচাপ অবস্থায় উত্তর-পূর্ব দিকে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে। আগামী ২৪ শে মে নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গভীর নিম্নচাপ অবস্থায় মায়ানমার ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূল এবং মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূল ঘেঁষে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল আগামী ২৬ শে মে সকাল ৬ টার পর থেকে ২৭ শে মে দুপুর ১২ টার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা জেলা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করতে পারে। তবে সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি যে ঘূর্ণিঝড় রেমাল সরাসরি খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার।
নিচে বিভিন্ন আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর স্থল ভাগে আঘাতের সম্ভব্য স্থান ও সময় এর চিত্র যোগ করা হলও। (২৩ মে এর পূর্বাভাস অনুসারে)
বিশ্বের প্রধান-প্রধান দুইটি আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল: আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্টিং সিস্টেম মডেল নির্দেশিত উপকূলে আঘাতের স্থান ও সময়ের পার্থক্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে এসেছে। ঘূর্ণিঝড়টি কি পরিমাণ শক্তিশালি হতে পারে ও উপকূলে আঘাতের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ কত হতে পারে তা নিয়ে বিশ্বের প্রধান-প্রধান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের মধ্যে এখনও কিছু পার্থক্য রয়েছে। তবে, এখানে উল্লেখ্য যে ঘূর্ণিঝড়ের স্থল ভাগে আঘাতের স্থান ও সময় বিষয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি সঠিক পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্টিং সিস্টেম নামক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল বা ECMWF Integrated Forecasting System (IFS)।
ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মডেল অনুসারে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল আগামী ২৬ শে মে (রবিবার) সকাল ৬ টার পর থেকে ২৭ শে মে দুপুর ১২ টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকা, খুলনা বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলো এবং বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার আশংকা নির্দেশ করতেছে। (২৩ মে এর পূর্বাভাস অনুসারে)।
ছবি: অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৬ শে মে দুপুর ১২ টার পর থেকে বাংলাদেশের বরিশাল ও চট্রগ্রাম বিভাগের মধ্যবর্তী উপকূলের উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে। (২৩ মে এর পূর্বাভাস অনুসারে)।
ছবি: ফ্রান্সের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৬ শে মে দুপুর ১২ টার পর থেকে বাংলাদেশের বরিশাল ও চট্রগ্রাম বিভাগের মধ্যবর্তী উপকূলের উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে। (২৩ মে এর পূর্বাভাস অনুসারে)।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল কোন দিন ও কোন সময়ে উপকূলে আঘাত করতে পারে?
ঘূর্ণিঝড় রেমাল আগামী ২৬ শে মে সকাল ৬ টার পর থেকে ২৭ শে মে দুপুর ১২ টার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় বৃত্তের অগ্রবর্তী অংশ উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ করা শুরু করতে পারে সকাল ৬ টার পর থেকে দুপুর ৩ টার মধ্যে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করার সম্ভব্য সময় ২৬ শে মে সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে রাত ৩ টার মধ্যে। ঘূর্ণিঝড় বৃত্তের পিছন দিকের অর্ধেক অংশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে রাত ৩ টার পর থেকে ২৭ শে মে দুপুর ১২ টার মধ্যে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের বাতাসের সম্ভব্য গড় গতিবেগ ও সর্বোচ্চ গতিবেগ কেমন হতে পারে?
ঘূর্ণিঝড় রেমাল সমুদ্রের মধ্যে থাকা অবস্থায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠতে পারে ঘন্টায় ১৩০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দমকা হাওয়া সহ যা ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর উপকূলে আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার যা দমকা হাওয়া সহ ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের রেমালের কারণে উপকূলীয় এলাকা কত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে?
ঘূর্ণিঝড় রেমাল যেহেতু পূর্ণিমা রাতের মাত্র ২ দিন পরে উপকূলে আঘাত করবে তাই চন্দ্র-সূর্য ও পৃথিবীর মিলিত শক্তির কারণে স্বাভাবিক ভাবেই জোয়ার-ভাটার পানির উচ্চতা বেশি থাকবে। এর সাথে যুক্ত হবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব। ঘূর্ণিঝড় রেমাল যদি জোয়ারের সময় উপকূল অতিক্রম করে তবে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ও ভাটার সময় উপকূল অতিক্রম করলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের রেমালের কারণে বাংলাদেশের উপরে কবে থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে ও কত দিন পর্যন্ত চলতে পারে?
ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে বাংলাদেশে উপরে বৃষ্টিপাত শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে আজ ২৩ শে মে থেকে যা ২৮ শে মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের উপর মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ২৫, ২৬ ও ২৭ শে মে। সবচেয়ে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ২৬ ও ২৭ শে মে। অপেক্ষাকৃত হালকা পরিমাণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মে মাসের ২৪ ও ২৮ তারিখে।
ঘূর্ণিঝড়ের রেমালের কারণে বাংলাদেশের কোন বিভাগের উপরে কি পরিমাণে বৃষ্টি শুরু হতে পারে ২৪ থেকে ২৮ এ মে এর মধ্যে?
বরিশাল বিভাগ: ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিমিটার
খুলনা বিভাগ: ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিমিটার
চট্টগ্রাম বিভাগ: ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার
ঢাকা বিভাগ: ২০০ থেকে ৩৫০ মিলিমিটার [পদ্মা নদীর পশ্চিম পাশের জেলাগুলোর উপরে ৩০০ থেকে ৩৫০ মিলিমিটার ও ঢাকার উত্তর ও পূর্ব পাশের জেলাগুলোর উপরর ২০০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার]
রাজশাহী বিভাগ: ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার
ময়মনিসংহ বিভাগ: ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার
সিলেট বিভাগ: ২৫০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার
রংপুর বিভাগ: ১০০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার
ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মডেল অনুসারে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর কারণে ২৮ শে মে সন্ধা পর্যন্ত সাম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমান (২৩ মে এর পূর্বাভাস অনুসারে)।
২৩ শে মে এর আবহাওয়া পূর্বাভাসের সারাংশ বা উল্লেখযোগ্য মূল্যবান তথ্য সমূহ
—-> ঘূর্ণিঝড় রেমাল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করতে পারে ২৬ শে মে সকাল ৬ টার পর থেকে ২৭ শে মে দুপুর ১২ টার মধ্যে।
—–> ঘূর্ণিঝড়ের রেমালের কারণে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার উপরে ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ২৪ শে মে থেকে ২৮ এ মে এর মধ্যে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল ও ভোলা জেলার উপরে।
—–> ঘূর্ণিঝড়টি যদি জোয়ারের সময় উপকূলে আঘাত হানা শুরু করে তবে উপকূলীয় এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট বেশি ও ভাটার সময় উপকূলে আঘাত হানা শুরু করলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে।
—–> ঘূর্ণিঝড়টি খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর উপকূলে আঘাতের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার যা দমকা হাওয়া সহ ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সাম্ভ্য ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা
কৃষকদের জন্য পরামর্শ
সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বাংলাদেশের বেশিভাগ জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে মে মাসের ২৪ তারিখ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে। ফলে বাংলাদেশের কৃষকদের অনুরোধ করবো প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিয়ে রাখার জন্য। জমিতে পাকা ধান থাকলে তা কেটে মড়াই করাে জন্য। শাক-সবজির জমিত যেন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জামা হওয়া বৃষ্টির পানি জমে শস্যের ক্ষতি না করে।
সমুদ্র-গামী জেলেরা কোন ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে পারে?
সম্ভাবনা খুবই বেশি মে মাসের ২২ তারিখ থেকে সমুদ্র উত্তাল হওয়া। সমুদ্রে মাছ ধরা জেলেরা যেন অবশ্যই মে মাসের ২৩ তারিখের মধ্যে উপকূলে ফেরত চলে আসে। মে মাসের ২৪ তারিখ থেকে সমুদ্রে অবস্থান করা কোন ভাবে নিরাপদ হবে না। মে মাসের ২৪ তারিখ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত সমুদ্র খুবই ভয়ংকর অবস্থায় থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার লবণ চাষিদের জন্য পরামর্শ কি?
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার লবনচাষিদের জানানো যাচ্ছে যে মে মাসের ২৪ তারিখ থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে তা মে মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মাঠে থাকা লবণ আগামীকাল ২৩ শে মে তারিখের মধ্যে তুলে ফেলার প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।
উপকূলীয় এলাকার বাণিজ্যিক মৎসচাষীদের জন্য পরামর্শ:
সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রবল প্রভাব পড়ার আশংকা করা যাচ্ছে বরিশাল ও খুলনা বিভাগ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকার উপরে। সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় রোমাল ভরা-পূর্ণিমার ২ দিন পরে উপকুলে আঘাত করার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ (ভাটার সময়) থেকে ১০ ফুট (জোয়ারের সময়) বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশংকা করা যাচ্ছে। মৎসচাষীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিয়ে রাখার পরামর্শ রইলো।
ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহারের শর্তাবলী
১) এই ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত কোন তথ্য কোন প্রকাশনায় (যেমন, সংবাদ পত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, ফেসবুক, ব্লগ) ব্যবহার করলে আবহাওয়া ডট কম ওয়েবসাইটের নাম কিংবা মোস্তফা কামাল পলাশ (আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক, সাস্কাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, সাসকাটুন, কানাডা) এর নাম তথ্য সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা আবশ্যক।
২) এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত সকল আবহাওয়া পূর্বাভাস বেসরকারি তথ্য হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নীতি নির্ধারণই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওয়বেসাইটের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি দায়ী থাকিবে না।