সিলেট ও রংপুর বিভাগের জন্য জীবন-রক্ষাকারী জরুরী বন্যা পূর্বাভাস আপডেট ৪: বৃহস্পতিবার, জুন ২০, ২০২৪
গতকাল বুধবার বিকেল ৬ টার পর থেকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৬ টার মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টিপাত হয়েছে বাংলাদেশের রংপুর, সিলেট ও ময়মনিসংহ বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। একই সময়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সর্ব-উত্তরের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুর দুয়ার, ও কুচবিহার জেলা, আসাম রাজ্যের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ও মেঘালয় রাজ্যের উপরেও বৃষ্টিপাত কমে এসেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৬ টার পর থেকে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৬ টার মধ্যে বৃষ্টিপাত এর তীব্রতা আরও কমে আসার সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো। গতকাল বুধবার থেকে সিলেট বিভাগের নদ-নদীগুলোর উজানের উপজেলাগুলোর নদীর পানির উচ্চতা কমা শুরু করেছে অল্প-অল্প করে।
গতকাল বুধবার সকাল ৯ টার পর থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত বাংলাদেশের যে সকল জেলায় ১০০ মিলিমিটার এর বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে তা নিম্নরূপ:
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার পাটেশ্বরী নামক স্থানে: ১৫৮ মিলিমিটার
নীলফামারী জেলার ডালিয়া উপজেলা: ১১২ মিলিমিটার
সিলেট জেলার শেরপুরে: ১২০ মিলিমিটার
বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র হতে প্রাপ্ত তথ্য আজ সকাল ৬ টার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি-প্রবাহের তথ্য অনুসারে আজ বৃহস্পতিবারও সিলেট বিভাগের সকল নদীর পানি বন্য বিপদ সীমার ১ থেকে ২ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যদি চলমান বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমা অব্যাহত থাকে তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নদীগুলোর পানি বন্যা বিপদ সীমার নিচে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আসাম রাজ্যের উপরে গত ১ সপ্তাহ থেকে ভারি বৃষ্টির কারণে নেমে আসা পানির চাপের কারণে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজের সকল গেট খুলে দিয়েছে বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। ফলে তিস্তা বাধের ভাটি এলাকার জেলা ও উপজেলাগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়া শুরু করেছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে আসার পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরও পূর্বাভাস দিয়েছে আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের উপরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসার।
ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্টিং সিস্টেম নামক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে আগামী ২১ শে জুন বিকেল ৬ টা পর্যন্ত সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে রংপুর ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে কিংবা বন্যা বিপদসীমার খুবই কাছা-কাছি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। (২০ ই জুন সকাল ৬ টার সময় প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে)
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে কিংবা বন্যা বিপদসীমার খুবই কাছা-কাছি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে কিংবা বন্যা বিপদসীমার খুবই কাছা-কাছি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।
ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহারের শর্তাবলী
১) এই ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত কোন তথ্য কোন প্রকাশনায় (যেমন, সংবাদ পত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, ফেসবুক, ব্লগ) ব্যবহার করলে আবহাওয়া ডট কম ওয়েবসাইটের নাম কিংবা মোস্তফা কামাল পলাশ (আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক, সাস্কাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, সাসকাটুন, কানাডা) এর নাম তথ্য সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা আবশ্যক।
২) এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত সকল আবহাওয়া পূর্বাভাস বেসরকারি তথ্য হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নীতি নির্ধারণই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওয়বেসাইটের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি দায়ী থাকিবে না।