সকাল ৬ টার সময় বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশিভাগ বেশিভাগ জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশার উপস্থিতি ছিল।ঢাকা বিভাগের পূর্ব দিকের জেলাগুলোর উপরে হালকা পরিমাণ কুয়াশার উপস্থিতি দেখে গেছে আজ শনিবার সকাল ৬ টার সময়। গতকাল শুক্রবার অপেক্ষা আজ শনিবার কুয়াশা যুক্ত জেলার সংখ্যা আরও কমে এসেছে ও আগামীকাল রবিবার ভোর ৬ টার সময় কুয়াশা যুক্ত জেলার সংখ্যা আরও কমে আসার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে (সকাল ৬ টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৪) বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার উপরে কুয়াশার বিস্তার দেখা যাচ্ছে ।
আজ শনিবার সকাল ৬ টার সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত কুয়াশার চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর আকাশ ছিলও পুরোপুরি কুয়াশা মুক্ত। আগামীকাল রবিবার চলমান কুয়াশা আর দক্ষিণ-পূর্ব দিকের জেলাগুলোর উপরে সরে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে যে আগামী মঙ্গলবার সকাল ৬ টার সময় শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপরে হালকা পরিমাণ কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা। আগামী বুধবার কুয়াশা বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো ও মায়ানমারে প্রবেশ করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ সকাল ৬ টার কুয়াশার চিত্র বিশ্লেষণ করে মাঝারি থেকে ভারি কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের একাধিক জেলায় ও বরিশাল বিভাগের কিছু জেলার উপরে। আজ শনিবার সকাল ৬ টা বেজে ৩০ মিনিটের সময় পুরো দেশের মধ্যে সবচেয়ে ঘন কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে বরিশাল, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার উপরে। আজ শনিবারও মেঘনা নদীর উপকূলবর্তী জেলাগুলোর উপরে কুয়াশার বিস্তার দেখা গেছে।
ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে (দুপুর ১ টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৪) বাংলাদেশের সকল জেলা কুয়াশা-মুক্ত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে।
আজ শনিবার দুপুর ১ টার কুয়াশার চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে দেশের সকল জেলার উপর থেকে কুয়াশা সরে গিয়ে সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে। তবে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর উপরে মেঘ প্রবেশ করা শরু করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগত মেঘের কারণে। পশ্চিমা লঘু চাপের কারণে মধ্যভারতের উপরে মেঘের সৃষ্টি হয়ে তা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই মেঘ থেকে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যাঞ্চলের কিছু জেলার উপর হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামীকাল রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে।
শনিবার, জানুয়ারি ৬, ২০২৪ দেশের উল্লেখযোগ্য শহর ও স্থানগুলোতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড (সকাল ৬ টার সময়)
আজ শনিবার সকাল ৬ টার সময় দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দিনাজপুর জেলায় ভোর ৬ টার সময় ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ভোর ৬ টার সময় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাজশাহী জেলায় ভোর ৬ টার সময় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকা বিমানবন্দরে ভোর ৬ টার সময় ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বরিশালে ভোর ৬ টার সময় ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা পূর্বাভাস
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে রবিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত দেশের ৮ টি বিভাগের মধ্যে ৩ টি বিভাগে (বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম) জেলাগুলোর উপরে মাঝারি থেকে ভারি ঘনত্বের কুয়াশা, ২ টি বিভাগের (ঢাকা ও ময়মনসিংহ) জেলাগুলোর উপরে হালকা থেকে মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশার উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আজ শনিবার দিবাগত রাতে সর্বোচ্চ পরিমাণে কুয়াশার চাঁদেরে ঢাকা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলো।
আজ শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত সর্বনিম্ন পরিমাণে কুয়াশা কিংবা কুয়াশা মুক্ত থাকার সম্ভাবনা প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে।
মহাসড়কে বাস-ট্রাক চলাচল ঝুঁকি ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা
আজ শনিবার দিবাগত রাতে (পুরো রাত) আবারও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সিলেট, চট্টগ্রাম, ও বরিশাল বিভাগের সকল সড়ক ও মহাসড়ক।
নৌ-পরিবহন ঝুঁকি ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা
আজ শনিবার দিবাগত রাতে (রাত ১০ টার পর থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত) মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, ও বরিশাল বিভাগের সকল নৌপথ। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথগুলোর দৃষ্টিসীমা ৫০০ মিটার থেকে ১০০০ মিটার এর নিচে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ছবি: আগামীকাল রবিবার সকাল ৬ টার সময়কার কুয়াশার সম্ভাব্যতার মানচিত্র, আবহাওয়া বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম “ফগ স্টাবিলিটি ইনডেক্স” (যে স্থানে রং যত বেশি লাল সেই স্থানে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা তত বেশি)।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ফগ স্টাবিলিটি ইনডেক্স এর মান ৩১ এর কম হলে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা; ৩১ থেকে ৫৫ এর মধ্য থাকলে হালকা থেকে মাঝারি মানের কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা ও ৫৫ এর বেশি হলে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম নির্দেশ করে।
আগামী ৩ দিনের (মঙ্গলবার পর্যন্ত) কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ পূর্বাভাস
আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো হতে প্রাপ্ত জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখের পূর্বাভাস অনুসারে দেশব্যাপী চলমান কুয়াশা পুরোপুরি শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ৯ ই জানুয়ারি এর পরে। আজ শনিবার সকালে দেশের কোন জেলায় শৈত্যপ্রবাহের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় নি। আগামীকাল বরিবার থেকে সকাল বেলার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামীকাল রবিবার সকালে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে সকাল ৬ টার সময় তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপরে শনিবার (জানুয়ারি ৬) ও রবিবার (জানুয়ারি ৭) কুয়াশা পূর্বাভাস
আজ শনিবার সকাল ৬ টার সময় পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সকল জেলা ছিলও কুয়াশা মুক্ত। আগামীকাল রবিবার সকাল ৬ টার সময় সকল জেলার উপরে শীতকালের স্বাভাবিক কুয়াশার উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।। আজ শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে আগামীকাল রবিবার সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যাঞ্চলের কোন-কোন জেলার উপরে হালকা পরিমাণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমা লঘু চাপের কারণে সৃষ্ট মেঘ হতে।
সর্ব-ভারতীয় কুয়াশা অবস্থা (জানুয়ারি ৬, ২০২৪)
আজ শনিবার ভারতের উত্তর পশ্চিম দিকের বেশিভাগ রাজ্য মাঝারি থেকে ভারি কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিলও। গত ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে ভারতের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমের সকল রাজ্য ভারি কুয়াশার কারণে জনজীবনে যে স্থবিরতা নেমে এসেছিল তা উত্তর-পূর্ব দিকের রাজ্যগুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ও বিহার রাজ্যের উপরে। তবে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে কুয়াশা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের রাজ্যগুলোর উপর বিস্তার লাভ করা শুরু করেছে। আজ শনিবার গুজরাট রাজ্যের উপরে ঘন কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে।
তবে আজ শনিবার ভারত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১ টার মধ্যে প্রাপ্ত বিভিন্ন চিত্রে (Visible, Dust RGB and Day Microphysics) দেখা গেছে যে উত্তর ও উত্তর পশ্চিমের ভারতীয় রাজ্যগুলোর উপরে কুয়াশার ঘনত্ব কিছুটা কমে এসেছে গতকাল শুক্রবার অপেক্ষা তবে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের রাজ্যগুলোর উপর কুয়াশার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে গতকাল অপেক্ষা।
ভারত, জাপান ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন সেন্সর দ্বারা সংগৃহীত কুয়াশার চিত্র ৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪।
ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহারের শর্তাবলী
১) এই ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত কোন তথ্য কোন প্রকাশনায় (যেমন, সংবাদ পত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, ফেসবুক, ব্লগ) ব্যবহার করলে আবহাওয়া ডট কম ওয়েবসাইটের নাম কিংবা মোস্তফা কামাল পলাশ (আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক, সাস্কাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, সাসকাটুন, কানাডা) এর নাম তথ্য সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা আবশ্যক।
২) এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত সকল আবহাওয়া পূর্বাভাস বেসরকারি তথ্য হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নীতি নির্ধারণই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওয়বেসাইটের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি দায়ী থাকিবে না।