রবিবারের (অক্টোবর ৮, ২০২৩) বৃষ্টিপাত পূর্বাভাস
সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে যে লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছিল তার প্রভাবে অক্টোবর মাসের ৩ তারিখ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত দেশব্যাপী রেকর্ড ব্রেকিং ভারি বৃষ্টি হয়েছে রাজশাহী, ময়মনিসিং, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জেলায়। এই লঘুচাপটির প্রভাব গতকাল শনিবার কমে এসেছিল ও আজ রবিবারের পর থেকে পুরো-পুরি শেষ হয়ে যাবে। গতকাল শনিবার থেকেই খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বেশিভাগ জেলায় বৃষ্টি থেমে গেছে। আজ রবিবার বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি দেখা যাচ্ছে। অন্যান্য বিভাগগুলোর উপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম বা নই বললেই চলে। আজ রবিবার অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। আগামীকাল সোমবার ভোর ৬ টার মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নিম্নরূপ:
ছবি কৃতজ্ঞতা: বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর আবহাওয়া বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত রাডার থেকে প্রাপ্ত রিফলেকটিভিটি (মেঘের মধ্যে অবস্থিত বৃষ্টির কণায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে রাডারের গ্রাহক যন্ত্রে প্রতিফলিত রশ্মির পরিমাণ) মানচিত্র। চিত্রের লাল রং ভারি বৃষ্টি; হলুদ রং মাঝারি মানের বৃষ্টি ও সবুজ রং হালকা মানের বৃষ্টি নির্দেশ করে। [দুপুর ২ টা]
বরিশাল বিভাগ: আজ রবিবার দুপুর ২ টার পর থেকে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে বরিশাল বিভাগের সকল জেলার উপর বজ্রপাত সহ হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বরিশাল জেলায়।
চট্টগ্রাম বিভাগ: আজ রবিবার দুপুর ২ টার পর থেকে রাত ১০ টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগের একাধিক জেলার উপর হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। দুপুর ২ টার পর থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে ব্রাক্ষমণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ও ফেনী জেলার উপর হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ দুপুর ৩ টার পর থেকে রাত ১০ টার মধ্যে চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলার অনেক উপজেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, ও খাগড়াছড়ি জেলার উপরে।
সিলেট বিভাগ: আজ রবিবার দুপুর ২ টার পর থেকে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে সিলেট বিভাগের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সিলেট জেলার উপরে। রাত ১০ টার পর থেকে ভোর ৬ টার মধ্যে সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার মেঘালয় সীমান্তবর্তী এলাকায় বজ্রপাত সহ হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকা বিভাগ: আজ রবিবার ঢাকা বিভাগের বেশিভাগ জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম। বৃষ্টিপাতের সামান্য কিছু সম্ভাবনা রয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার উপরে দুপুর ৩ টার পর থেকে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে। আজ রবিবার ঢাকা শহরের উপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নাই বললেই চলে।
খুলনা বিভাগ: আজ রবিবার খুলনা বিভাগের বেশিভাগ জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম। তবে উপকূলীয় এলাকার জেলাগুলোর উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুপুর ২ টার পর থেকে সন্ধ্যা ৬ টার। বিশেষ করে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ও খুলনা জেলার উপকূলীয় এলাকার উপজেলাগুলোর উপরে।
ময়মনসিংহ বিভাগ: আজ রবিবার সন্ধ্যার পূর্বে ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর উপর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম। আজ সন্ধ্যার ৭ টার পর থেকে রাত ১২ টার মধ্যে শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর উপরে বজ্রপাত সহ হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজশাহী বিভাগ: আজ রবিবার রাজশাহী বিভাগের বেশিভাগ জেলাগুলোর উপর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে বিচ্ছিন্ন ভাবে ২/১ টি জেলার কোন-কোন উপজেলার উপরে খুবই অল্প সময়ের জন্য গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি পড়তে পারে। বিশেষ করে চাপাই নবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও বগুড়া জেলার উপরে।
রংপুর বিভাগ: আজ রবিবার রংপুর বিভাগের বেশিভাগ জেলার উপর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম। অল্প কয়েকটি জেলার উপরে হালকা পরিমাণের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার উপরে।
পশ্চিমবঙ্গের উপর বৃষ্টিপাত পূর্বাভাস
আজ রবিবার পশ্চিমবঙ্গের বেশিভাগ জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদ জেলার কোন-কোন অংশের উপরে অল্প সময়ের জন্য হালকা মানের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুপুর ৩ টার পর থেকে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে।
ছবি: কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত (দুপুর ১ টা বেজে ২০) মেঘের শীর্ষের তাপমাত্রা। যে স্থানে তাপমাত্রা যত বেশি ঋনাত্নক সেই স্থানে মেঘের উচ্চতা তত বেশি ও সেই স্থানে মেঘের মধ্যে বৃষ্টির পানির পরিমাণ তত বেশি।
ছবি: জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত (দুপুর ১ টা বেজে ৪০) মেঘের চিত্র বাংলাদেশের উপর
ছবি কৃতজ্ঞতা: ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর
ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহারের শর্তাবলী
১) এই ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত কোন তথ্য কোন প্রকাশনায় (যেমন, সংবাদ পত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, ফেসবুক, ব্লগ) ব্যবহার করলে আবহাওয়া ডট কম ওয়েবসাইটের নাম কিংবা মোস্তফা কামাল পলাশ (আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক, সাস্কাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, সাসকাটুন, কানাডা) এর নাম তথ্য সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা আবশ্যক।
২) এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত সকল আবহাওয়া পূর্বাভাস বেসরকারি তথ্য হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নীতি নির্ধারণই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওয়বেসাইটের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি দায়ী থাকিবে না।