বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপরে সম্ভব্য বৃষ্টিপাত পূর্বাভাস (আপডেট ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪): ১৬ ই জানুয়ারিও বৃষ্টি হতে পারে
- ১৬ ই জানুয়ারি সন্ধ্যার পর থেকে ১৭ ই জানুয়ারি ভোর এর মধ্যে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী মেঘালয় পর্বতের উপরে অল্প বজ্রপাত সহ হালকা মানের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
- ১৭ ই জানুয়ারি দুপুর ৩ টার পর থেকে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে ময়মনিসংহ ও সিলেট বিভাগের কোন-কোন জেলার উপরে সামান্য পরিমাণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
- ১৭ ই জানুয়ারি রাত ১২ টার পর থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মধ্যাঞ্চলের উপরে বজ্রপাত সহ বৃষ্টি শুরু হয়ে ভোর ৪ টা থেকে ১৮ ই জানুয়ারি সকাল ১০ টার মধ্যে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর উপরে দিয়ে ও সকাল ৮ টার পর থেকে দুপুর ১২ টার মধ্যে ঢাকা, বরিশাল, ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপর দিয়ে অতিক্রম করা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে।
- সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার উপরে দিয়ে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার উপর দিয়ে বজ্রপাত সহ বৃষ্টি রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলো উপর দিয়ে অতিক্রম করে ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগে জেলাগুলোর দিকে অগ্রসর হওয়ার।
- আর একটি বৃষ্টিপাত পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, হুগলী, নদীয়া, ও চব্বিশ পরগনা জেলার উপর দিয়ে খুলনা বিভাগের সীমান্তবর্তী সকল জেলার উপর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রর হয়ে ঢাকা বিভাগের দক্ষিণদিকের সকল জেলা (রাজবাড়ি, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগন্জ), বরিশাল বিভাগের সকল জেলা; চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি জেলার উপর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করার সম্ভাবনা বেশি।
- মূল বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ১৭ ই জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২ টার পর থেকে থেকে ১৮ ই জানুয়ারির দুপুর ১২ টার মধ্যে।
বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপরে স্থান ভেদে সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০ থেকে ৭৫ মিলিমিটার পর্যন্ত।
সর্বোচ্চ পরিমাণে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ঝিনাইদহ, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও খুলনা জেলার উপরে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বরিশাল বিভাগে জেলাগুলোতে। বিশেষ করে বরগুনা ও বরিশাল জেলার উপরে।
৩য় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ঢাকা বিভাগে: গোপালগঞ্জ, মুন্সিগন্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর জেলার উপরে।
ফুল চাষিদের জন্য পরামর্শ: খুলনা বিভাগের যশোর, ঝিনাইদহ, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলার ফুল-চাষিদের জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্হা করে রাখা পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।
আলু চাষিদের জন্য পরামর্শ: ১৫ জানুয়ারির পরে কৃত্রিম সেচ না দেওয়া। অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্হা করে রাখা।
তরমুজ চাষিদের জন্য পরামর্শ: অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্হা করে রাখা।
ইট ভাটা মালিকদের জন্য পরামর্শ: কাঁচা ইট রক্ষায় ব্যবস্হা গ্রহণের পরামর্শ
প্রধান-প্রধান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল নির্দেশিত সাম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের চিত্র নিচে যোগ করা হলো। এই বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ১৭ ই জানুয়ারি দুপুরের পর থেকে ১৯ শে জানুয়ারি সন্ধার ৬ টার মধ্যে।
ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্টিং সিস্টেম মডেল থেকে প্রাপ্ত নিচের চিত্রের দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।
ছবি: আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম মডেল থেকে প্রাপ্ত চিত্রের দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।
ছবি: যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত চিত্রে দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ
ছবি: দক্ষিন কোরিয়ার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত চিত্রে দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ
ছবি: ৯ টি মডেল থেকে প্রাপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাব্য গড় মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।
ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহারের শর্তাবলী
১) এই ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত কোন তথ্য কোন প্রকাশনায় (যেমন, সংবাদ পত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, ফেসবুক, ব্লগ) ব্যবহার করলে আবহাওয়া ডট কম ওয়েবসাইটের নাম কিংবা মোস্তফা কামাল পলাশ (আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক, সাস্কাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, সাসকাটুন, কানাডা) এর নাম তথ্য সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা আবশ্যক।
২) এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত সকল আবহাওয়া পূর্বাভাস বেসরকারি তথ্য হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নীতি নির্ধারণই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওয়বেসাইটের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি দায়ী থাকিবে না।