বৃহঃপতিবারের (জানুয়ারি ১১, ২০২৪) আবহাওয়া পূর্বাভাস: আজ বৃহঃপতিবার ৪০ টির বেশি জেলা কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিলও 

আজ বৃহঃপতিবার (জানুয়ারি ১১, ২০২৪) সকাল ৬ টা বেজে ৩০ মিনিটের সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত কুয়াশার চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে দেশের ৪০ টির বেশি জেলা কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিলও। আজ মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে দেশের ৫ টি বিভাগের (রংপুর, রাজশাহী, ময়মনিসংহ, ঢাকা ও সিলেট) সকল জেলার উপরে। সবচেয়ে বেশি ঘনত্বের কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তরের জেলাগুলোর উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের কুয়াশার উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশার উপস্থিতি ছিলও ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে।

ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে (সকাল ৬ টা বেজে ৩০ মিনিটের সময়, জানুয়ারি ১১, ২০২৪) বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার উপরে কুয়াশার বিস্তার দেখা যাচ্ছে ।  

আজ বৃহঃপতিবার সকাল ১১ টার কুয়াশার চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে এখন পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার উপস্থিতি রয়েছে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের সকল জেলার উপরে। এই ৩ বিভাগের উপর থেকে কুয়াশা সরে দিয়ে সূর্যের আলোর দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম দুপুর ৩ টার পূর্বে। আজ সারাদিন রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও শেরপুর জেলার উপরে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। দুপুর ২ টার মধ্যে রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপর থেকে কুয়াশা সরে গিয়ে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে (সকাল ১১ টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪) বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার উপরে কুয়াশার বিস্তার দেখা যাচ্ছে ।   

বৃহঃপতিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৪ দেশের উল্লেখযোগ্য শহর ও স্থানগুলোতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড (সকাল ৬ টার সময়) 

আজ বৃহঃপতিবার সকাল ৬ টার সময় দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলায় ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দিনাজপুর জেলায় ভোর ৬ টার সময় ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যশোর জেলায় ভোর ৬ টার সময় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাজশাহী জেলায় ভোর ৬ টার সময় ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকা বিমানবন্দরে ভোর ৬ টার সময় ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বরিশালে ভোর ৬ টার সময় ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।  

আজ বৃহঃপতিবার, ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বায়ু-দূষণের মানচিত্র

আজ বৃহঃপতিবার, ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ পুরো বিশ্বে সবচেয়ে দুষিত শহর হিসাবে ঢাকা শহরের অবস্থান ২ য় স্থানে রয়েছে। তবে সম্ভাবনা রয়েছে দুপুর ১ টার মধ্যে পুরো বিশ্বের মধ্যে ১ নম্বর স্থানে উঠার। আজ সকাল ১১ টার সময় ঢাকা শহরের ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার (পিএম ২.৫) বা তার চেয়ে কম ব্যাসার্ধের পার্টিকুলেট ম্যাটারের গড় ঘনত্ব রেকর্ড করা হয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ২১৮। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্রহণযোগ্য মাত্রা অপেক্ষা প্রায় ৩১ গুন বেশি।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: বায়ুদূষণ পরিমাপের জন্য যে সূচক ব্যবহার করা হয় তা হলও, প্রতি ঘনমিটারে পার্টিকুলেট ম্যাটারের পরিমাণ। এক ঘনমিটারের মধ্যে কত মাইক্রোগ্রাম পার্টিকুলেট ম্যাটার আছে। পার্টিকুলেট ম্যাটার হলও— বাতাসের মধ্যে ধূলিকণা, ময়লা, আবর্জনা, লতাপাতার ভগ্নাংশ, ফুলের রেণু ইত্যাদি। সাইজ অনুসারে পার্টিকুলেট ম্যাটারকে দুভাগে ভাগ করা হয়— ব্যাসার্ধ ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার (পিএম ২.৫) বা তার চেয়ে কম ও পিএম ১০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে কম। ১ মাইক্রোমিটার হলও ১ মিটারের ১০ লক্ষ ভাগের এক ভাগ বা ১ মিলিমিটারের ১ হাজার ভাগের এক ভাগ। 

ঢাকা শহরের কোন স্থানের বায়ু-দূষণের পরিমাণ কেমন ছিল?

ঢাকা শহরে অস্হিত আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে যা International Centre for Diarrheal Disease Research, Bangladesh (icddr,b) নামে পরিচিত সেই সংস্থা পরিচিত বায়ুদূষণ যন্ত্রে ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার (পিএম ২.৫) বা তার চেয়ে কম ব্যাসার্ধের পার্টিকুলেট ম্যাটারের গড় ঘনত্ব রেকর্ড করা হয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ৩৫৩। 

বৃহঃপতিবার (১১ ই জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার (১২ ই জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা পূর্বাভাস

আজ বৃহঃপতিবার সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে শুক্রবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত দেশের ৮ টি বিভাগের মধ্যে ৫ টি (রংপুর, রাজশাহী, ময়মনিসংহ, সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম) বিভাগের বেশিভাগ জেলার উপরে মাঝারি থেকে ভারি ঘনত্বের কুয়াশার উপস্থিতি থাকার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ২ টি বিভাগের উপরে (খুলনা ও চট্টগ্রাম) হালকা থেকে মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশা পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর উপর কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম।

আগামীকাল বৃহঃপতিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সূর্যের আলো দেখতে না পাওয়া যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে দেশের ৫ বিভাগের (রংপুর, রাজশাহী, ময়মনিসংহ, সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম) বেশিভাগ জেলাগুলোর উপরে। আগামীকাল বৃহঃপতিবারও দুপুর ২ টার পূর্বের সূর্যের আলো দেখতে না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর উপরে।

আজ বৃহঃপতিবার দিবাগত রাতে মহাসড়কে বাস-ট্রাক চলাচল ঝুঁকি ও  প্রয়োজনীয় সতর্কতা

আজ বৃহঃপতিবার দিবাগত রাতে (পুরো রাত) আবারও ভারি থেকে খুবই ভারি কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে দেশের ৫ বিভাগের (রংপুর, রাজশাহী, ময়মনিসংহ, সিলেট, ঢাকা) সকল সড়ক ও মহাসড়কে।

আজ বৃহঃপতিবার দিবাগত রাতে নৌ-পরিবহন ঝুঁকি ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা

আজ বৃহঃপতিবার দিবাগত রাতে (রাত ১০ টার পর থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত) ঘন থেকে খুবই ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে দেশের ৫ বিভাগের (রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনিসংহ, সিলেট) সকল নৌপথ। এই সকল বিভাগের নদ- নদীর নৌপথের দৃষ্টিসীমা ১০০ থেকে ৩০০ মিটার এর নিচে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।  

ছবি: আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৬ টার সময়কার কুয়াশার সম্ভাব্যতার মানচিত্র, আবহাওয়া বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম “ফগ স্টাবিলিটি ইনডেক্স” (যে স্থানে রং যত বেশি লাল সেই স্থানে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা তত বেশি)। 

বিশেষ দ্রষ্টব্য: ফগ স্টাবিলিটি ইনডেক্স এর মান ৩১ এর কম হলে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা; ৩১ থেকে ৫৫ এর মধ্য থাকলে হালকা থেকে মাঝারি মানের কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা ও ৫৫ এর বেশি হলে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম নির্দেশ করে। 

আগামী ৩ দিনের (রবিবার পর্যন্ত) কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ পূর্বাভাস

আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো হতে প্রাপ্ত জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখের পূর্বাভাস অনুসারে দেশব্যাপী চলমান কুয়াশার বিস্তার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের জেলাগুলোর উপরে আরও কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে আগামীকাল শুক্রবার সকালে। পক্ষান্তরে উত্তর ও পূর্ব দিকের বিভাগগুলোর (রংপুর, ময়মনিসংহ, সিলেট) উপরে কুয়াশা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে আগামী রবিবার পর্যন্ত। কুয়াশা কমার সাথে-সাথে সকাল বেলার তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর উপরে।

১৮ ও ১৯ ই জানুয়ারি দেশব্যাপী উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপরে বৃহঃপতিবার (জানুয়ারি ১১) ও শুক্রবার (জানুয়ারি ১২) কুয়াশা পূর্বাভাস

আজ বৃহঃপতিবার সকাল ৬ টার সময় পশ্চিমবঙ্গের মধ্য ও উত্তর দিকের সকল জেলার উপরে মাঝারি থেকে ভারি কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে। বিশেষ করে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার, আলিপুর দুয়ার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, ও মুর্শিদাবাদ জেলার উপরে ভারি কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে। আজ বৃহঃপতিবার সন্ধ্যার পর থেকে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০ টার মধ্যে আবারও পশ্চিমবঙ্গের মধ্য ও উত্তর দিকের সকল জেলার উপরে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়ার থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

সর্ব-ভারতীয় কুয়াশা অবস্থা (জানুয়ারি ১১, ২০২৪)

আজ বৃহঃপতিবার সকাল ৬ টা বেজে ৩০ মিনিটের সময় ভারতের কাশ্মীর থেকে শুরু করে পূর্বে আসাম পর্যন্ত হিমালয় পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত প্রত্যেকটি রাজ্য, মধ্য প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের উপরে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার বিস্তার লক্ষ করা গেছে। ভারত, জাপান ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন সেন্সর দ্বারা সংগৃহীত কুয়াশার ((Visible, Dust RGB and Day Microphysics)) চিত্র ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪।