মঙ্গলবারের (২৭ শে আগস্ট) আবহাওয়া পূর্বাভাস: ফেনী ও কুমিল্লা জেলার বন্যা পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি হওয়া শুরু করেছে
ভারতের ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এবং বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপরে অবস্থিত সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে আজ সারাদিন খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, ঢাকা বিভাগের সকল জেলা ও পশ্চিমবঙ্গের সকল জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে বিকেল ৪ টার পর থেকে বুধবার সকাল ৬ টার মধ্যে।
খুলনা বিভাগ: সকল জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অপেক্ষাকৃত ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ জেলায়।
বরিশাল বিভাগ: বরিশাল বিভাগের সকল জেলায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুপুর ৩ টা বেজে ৩০ মিনিটের পর থেকে রাত ১০ টার মধ্যে।
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আজ ৩ টা বেজে ৩০ মিনিটের পর থেকে রাত ১০ টার মধ্যে।
রাজশাহী: রাজশাহী বিভাগের বেশিভাগ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আজ ৩ টা বেজে ৩০ মিনিটের পর থেকে রাত ১২ টার মধ্যে।
রংপুর: দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, রংপুর জেলায় হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বিকেল ৪ টার পর থেকে আগামীকাল বুধবার সকাল ৬ টার মধ্যে।
ঢাকা বিভাগ: আজ রাত ৮ টার পূর্বে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম।
ময়মনসিংহ: আজ রাত ১০ টার পূর্বে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম।
সিলেট বিভাগ: সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাত ৯ টার পর থেকে আগামীকাল বুধবার সকাল ৬ টার মধ্যে।
ছবি: জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত দৃশ্যমান মেঘের চিত্র (দুপুর ৩ টা বেজে ২০ মিনিটের তোলা)
পশ্চিমবঙ্গ: পশ্চিমবঙ্গের মধ্যাঞ্চলের সকল জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে দুপুর ৩ টা বেজে ৩০ মিনিটের পর থেকে রাত ১২ টার মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার ও আলিপুর দুয়ার জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে বিকেল ৫ টার পর থেকে আগামীকাল বুধবার সকাল ৬ টার মধ্যে।
ত্রিপুরা রাজ্য: বিকেল ৫ টার পর থেকে রাত ১২ টার মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের পশ্চিম দিকের দুই একটি জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেওয়ায় প্রভাব কি হতে পারে বাংলাদেশের উপর?
ফারাক্কা বাঁধের গেটগুলো খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পন্চিমান্বচলের পদ্মা-নদীর উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে হালকা পরিমাণ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে ১ সপ্তাহের জন্য। গত রবিবার থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হওয়া অনেক জেলার নদ-নদী, খাল-বিল বৃষ্টির পানিতে পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে-দেওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ফারাক্কা বাঁধের উজান থেকে আসা পানির কারণে পদ্মা নদীর শাখা-নদীগুলো পূর্ণ করে উপকূলবর্তী উপজেলাগুলো প্লাবিত করার প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে।
তবে খুব বড় মানের বন্যার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম; কারণ ফারাক্কা পয়েন্টে পানির উচ্চতা বন্যা বিপদসীমার খুব সামান্য উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া, গঙ্গা নদীর উজানে অবস্থিত বেশিভাগ নদীর পানি বন্যা বিপদ সীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ফারাক্কা বাঁধের সকল গেট খুলে দেওয়া হলেও বাংলাদেশে বড় মানের বন্যার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহারের শর্তাবলী
১) এই ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত কোন তথ্য কোন প্রকাশনায় (যেমন, সংবাদ পত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, ফেসবুক, ব্লগ) ব্যবহার করলে আবহাওয়া ডট কম ওয়েবসাইটের নাম কিংবা মোস্তফা কামাল পলাশ (আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক, সাস্কাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, সাসকাটুন, কানাডা) এর নাম তথ্য সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা আবশ্যক।
২) এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত সকল আবহাওয়া পূর্বাভাস বেসরকারি তথ্য হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রচারিত আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নীতি নির্ধারণই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওয়বেসাইটের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি দায়ী থাকিবে না।