কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস (জুন মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত)
দেশব্যাপী চলমান বজ্র-বৃষ্টি ২৩ শে মে থেকে কমা শুরু করবে ও ২৪ শে মে দেশের পশ্চিম দিকের বিভাগের জেলাগুলোতে সর্বনিম্ন পরিমাণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রংপুর, ময়মনিসংহ ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর উপরে দিনের বেলা বৃষ্টি কমে আসলেও রাতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জুন মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে সর্বনিম্ন পরিমাণে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মে মাসের ২৫ (শনিবার), ২৬ (রবিবার) ও ২৭ (সোমবার) তারিখে এবং জুন মাসের ১ ও ২ তারিখে। কৃষক ভাই দের পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে এই ৫ দিনে আপনাদের জমিতে থাকা পাকা ধান কেটে মাড়াই করার জন্য।
আগামী ২৮ মে থেকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া সম্ভব্য ঘুর্নিঝড়ের মন্থা (Mon-Tha) এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে। ঘুর্নিঝড়ের মন্থা (Mon-Tha) এর প্রভাবে আগামী ২৯, ৩০ ও ৩১ শে মে পুরো দেশের উপর মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর উপরে।
জুন মাসের ১ তারিখ থেকে বর্ষার মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগ দিয়ে প্রবেশ করা শুরু করবে। জুন মাসের ১ ও ২ তারিখে দেশ-ব্যাপী বৃষ্টির পরিমান কিছুটা কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জুন মাসের ৩ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত পুরো দেশের উপরে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে। সেই সাথে রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোন-কোন জেলার উপরে অগ্রিম বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে।
আমার ১৫ বছরের আবহাওয়া পূর্বাভাস ও গবেষণা জীবনে মে মাসে এত পরিমাণ বৈরী আবহাওয়া দেখি নি। এই বছর মে মাস শেষে বিভিন্ন জেলায় যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে তা বর্ষা কালের বৃষ্টির পরিমাণকে অতিক্রম করে যেতে পারে। ফলে যতটুকু ভালো আবহাওয়া পাওয়া যায় সেই সময়টুকু কাজে লাগাতে হবে বাংলাদেশের কৃষকদের।
সংবাদটা খারাপ হলেও বলতে হচ্ছে যে এই বছর বাংলাদেশের কৃষদের উৎপাদিত বোরো ধানের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ নষ্ট হয়ে যাবে এই প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য। বিশেষ করে যে ধান গুলো ইতিমধ্যেই পেকে গেছে ও জুন মাসের ১০ তারিখের পূর্বেই কাটা ও মাড়াই করতে হবে।