শুক্রবারের (১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩) আবহাওয়া পূর্বাভাস
শুক্রবার (১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩)
আজ শুক্রবার ভোর ৬ টার সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে দেখা গেছে যে রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলা, সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা ও চট্টগ্রাম বিভাগের পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবন ও রাঙ্গামাটি জেলার পাহাড়ি এলাকার সামান্য পরিমাণ কুয়াশার উপস্থিতি ছিলও। এছাড়া বাংলাদেশে আর কোন জেলার উপরে উল্লেখ যোগ্য পরিমাণে কুয়াশার উপস্থিতি দেখা যায় নি।
আবহাওয়া সম্পর্কীয় তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে আজ শুক্রবার বার সন্ধ্যার পর থেকে আগামীকাল শনিবার সকাল ১০ টার মধ্যে রংপুর বিভাগের জেলাগুলো ও সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২/১ টি জেলার উপরে খুবই হালকা পরিমাণ কুয়াশার উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল শনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর ও জলপাইগুড়ি জেলা থেকে নতুন করে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর উপরে কুয়াশা বিস্তার লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

ছবি: ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের পূর্বাভাস অনুসারে আগামীকাল শনিবার সকাল ৬ টার সময় দেশের বিভিন্ন বিভাগে বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতার সম্ভব্য মানচিত্র। এই মানচিত্রে যে সকল জেলার উপরে বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতার মান ৯০ থেকে ৯৫% দেখাচ্ছে সেই সকল জেলার উপরে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। যে সকল জেলার উপরে বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতার মান ৯৫ থেকে ৯৮% দেখাচ্ছে সেই সকল জেলার উপরে খুবই ঘন কুয়াশার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

ছবি: ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের পূর্বাভাস অনুসারে আগামীকাল শনিবার সকাল ৬ টার সময় দেশের বিভিন্ন বিভাগে দৃষ্টিসীমার সম্ভব্য মানচিত্র। এই মানচিত্রে যে সকল জেলার উপরে বেগুনি রং রয়েছে সেই সকল জেলায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ও ঐ সকল জেলায় দৃষ্টিসীমা সবচেয়ে কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র দেখা যাচ্ছে যে আজ শুক্রবার সকাল ৬ টার সময় দেশের ৩/৪ টি জেলা ছাড়া প্রায় পুরোদেশ কুয়াশা-মুক্ত ছিলও।
ছবি: ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র অনুসারে আজ শুক্রবার ভোর ৫ টার সময় বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের উপরে কুয়াশার মানচিত্র। (লালরং বেশি ঘন কুয়াশার পরিমাণ নির্দেশ করতেছে)
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপরে কুয়াশা পূর্বাভাস
আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে আগামীকাল শনিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
রাত্রিকালীন নৌ যোগাযোগের জন্য বিশেষ কুয়াশা সতর্কতা
যখন অপেক্ষাকৃত গরম পানির উপর দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় তখন কুয়াশার সৃষ্টি হয় যেমন করে শীতকালে মানুষ মুখ থেকে বাতাস ছাড়লে মুখনিঃসৃত গরম ও ভেজা বাতাস মুখের বাহিরে আসার পরে ধুয়ার সৃষ্টি করে ঠিক একই প্রক্রিয়ায় বড়-বড় নদীগুলোর উপরে রাত্রিকালীন কুয়াশা সৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে যেহেতু আজ বৃহঃপতিবার থেকে দেশের উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়া শুরু হয়েছে। ফলে আগামী ২০ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সকল নদ-নদীতে রাতে চলাচলকারী সকল নৌযানকে সতর্কতা অবলম্বন করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
দেশের উপর দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহের আপডেট:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে (রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে) দেশের অভ্যন্তরে অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা বাতাস প্রবেশ করা শুরু করেছে। আজ শুক্রবার ভোর ৬ টার সময় দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ভোর ৬ টার সময় ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাজশাহী জেলায় ভোর ৬ টার সময় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় ভোর ৬ টার সময় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত পূর্বাভাস অনুসারে খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ক্রমাগত কমতে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ১ সপ্তাহ। বিশেষ করে খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনা জেলা ও রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ও ঠাকুরগাঁও জেলার উপরে।

