বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি: টানা ৪ টিন বৃষ্টির আশংকা, দেশব্যাপী বৃষ্টিপাতের বিস্তারিত পূর্বাভাস।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া মৌসুমি লঘুচাপের প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ শে মে, ২০২৫) সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর উপরে। ৩১ শে মে পর্যন্ত পর-পর ৪ দিন চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা, মেঘালয় ও আসাম রাজ্যের উপরে বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে আগামী ২৯ ও ৩০ শে মে পুরো বাংলাদেশের উপরে বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে। সংবাদটি অনেক খারাপ ও আতংকের। তার পরেও বলতে হচ্ছে যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ফেনী ও কুমিল্লা জেলায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি করেছিল যে লঘুচালটি সেটা ঠিক একই স্থানে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ শে মে, ২০২৫)। শুধু তাই না, ফেনী ও কুমিল্লা জেলায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি করা লঘুচাপটি যে পথের উপর দিয়ে বাংলাদেশের স্থল ভাগে প্রবেশ করেছিল গতকালকে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি ঠিক একই পথের উপদ দিয়ে অতিক্রমের আশংকা করা যাচ্ছে। অর্থাৎ, লঘুচাপটি বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলের উপর দিয়ে ধীরে-ধীরে স্থল ভাগের উপরে প্রবেশ করে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের দিকে অগ্রসর হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভাগগুলো এবং ভারতের ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের উপরে অতিবৃষ্টির পূর্বাভাস
আজ ২৮ শে মে দুপুরের পর থেকে শুরু করে ৩১ শে মে মধ্য মধ্য রাত পর্যন্ত পর-পর ৪ দিন চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা (ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, উত্তর চট্টগ্রাম, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীজার, সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট এবং ভারতের ত্রিপুরা, মেঘালয় ও আসাম রাজ্যের উপরে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জি নামক স্থানে ৫০০ পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশংকা রয়েছে ২৯ ও ৩০ শে মে।