একটি বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট যা বাংলা ভাষায় আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে একাধিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ ও রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস

বুধবারের আবহাওয়া পূর্বাভাস (৯ ই এপ্রিল, ২০২৫)

Blog Image
Email : 120k 12k
বুধবারের আবহাওয়া পূর্বাভাস (৯ ই এপ্রিল, ২০২৫)
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘু চাপের প্রভাবে আজ বুধবার বিকেল ৫ টার পর থেকে আগামীকাল বৃহপতিবার সকাল ৮ টার মধ্যে দেশের ৬ টি বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সময়ে বজ্রপাত সহ হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগ: কক্সবাজার, বান্দরবন, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী [সম্ভব্য সময়: বিকেল ৫ টার পর থেকে বৃহপতিবার সকাল ৮ টা টার মধ্যে]
রংপুর বিভাগ: সকল জেলা [সম্ভব্য সময়: বিকেল ৬ টার পর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার মধ্যে]
বরিশাল বিভাগ: বরগুনা, পটুয়াখালীর ও ভোলা জেলার উপকূলীয় উপজেলাগুলো [সম্ভব্য সময়: রাত ৮ টার পর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার মধ্যে]
ঢাকা বিভাগ: গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ঢাকা [সম্ভব্য সময়: রাত ৮ টার পর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার মধ্যে]
সিলেট বিভাগ: সুনামগঞ্জ, সিলেট জেলা [সম্ভব্য সময়: রাত ১০ টার পর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার মধ্যে]
ময়মনিসংহ: সকল জেলা [সম্ভব্য সময়: রাত ৮ টার পর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার মধ্যে]
খুলনা বিভাগ: সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট [সম্ভব্য সময়: রাত ৮ টার পর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার মধ্যে]
রাজশাহী বিভাগ: জয়পুরহাট, নওগাঁ, বগুড়া জেলার [সম্ভব্য সময়: রাত ৮ টার পর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার মধ্যে]


ছবি ১: জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত মেঘের উপস্থিতি ও মেঘের শীর্ষের তাপমাত্রার চিত্র (৯ ই এপ্রিল বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪ টা বেজে ৪০ মিনিটের সময় তোলা)।

🌪️ ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাসের মানচিত্র ব্যাখ্যা (৯ এপ্রিল ২০২৫)

নিচে ২ নম্বর মানচিত্রটি ১১ এপ্রিল ২০২৫, রাত ১২ টা (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ও শক্তি সম্পর্কে পূর্বাভাস দেখাচ্ছে।

🔍 নিচের ২ নম্বর মানচিত্রে যা যা দেখা যাচ্ছে:

১. রঙিন রেখা ও বৃত্ত (পথ নির্দেশনা):
-----> হলুদ, সবুজ ও নীল রঙের রেখাগুলো ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ দেখাচ্ছে।
-----> প্রতিটি বৃত্ত দেখায় ঘূর্ণিঝড় নির্দিষ্ট সময়ে কোথায় থাকতে পারে।
-----> রেখাগুলোর ছড়িয়ে পড়া দেখাচ্ছে পূর্বাভাসে কতটা অনিশ্চয়তা আছে।

২. ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি (রঙের মাধ্যমে দেখানো):

নিচে ছবিতে যে রঙের স্কেল আছে তার বিভিন্ন রঙ সাম্ভব্য লঘুচাপ/ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি (হাওয়ার গতি ও শ্রেনীবিভাগ বা ক্যাটাগরি নির্দেশ করতেছে) বুঝিয়ে দিচ্ছে:
বিভিন্ন রঙ এর অর্থ
🟦 নীল ট্রপিক্যাল স্টর্ম (দুর্বল ঝড়)
🟩 সবুজ ক্যাটাগরি ১ (মৃদু ঝড়)
🟨 হলুদ ক্যাটাগরি ২ (মাঝারি ঝড়)
🟧 কমলা ক্যাটাগরি ৩ (তীব্র ঝড়)
🟥 লাল ক্যাটাগরি ৪ (অত্যন্ত শক্তিশালী)
🟪 গোলাপি ক্যাটাগরি ৫ (সর্বোচ্চ শক্তিশালী)

মানচিত্রে অধিকাংশ রেখা সবুজ ও হলুদ রঙের, অর্থাৎ ঝড়টি মাঝারি শক্তিশালী (ক্যাটাগরি ১–২) হতে পারে। সাম্ভব্য লঘুচাপটি উপকূল অতিক্রমের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠার আশংকা করা যাচ্ছে। 

৩. ভূমিতে আঘাতের সম্ভাব্য এলাকা:

বেশিরভাগ পূর্বাভাস বলছে, লঘুচাপটি বাংলাদেশের চট্রগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চল বিশেষ করে দক্ষিন চট্রগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবাণ জেলা ও মায়ায়ামনারের রাখাইন রাজ্যের উপর দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করার আশংকা করা যাচ্ছে আগামীকাল ১০ ই এপ্রিল বৃহপতিবার ও ১১ ই এপ্রিল শুক্রবার। 



ছবি ২: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে সম্ভাব্য লঘুচাপ/ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ও শক্তির পূর্বাভাস। 

Related Post