বুধবারের (জানুয়ারি ১০, ২০২৪) আবহাওয়া পূর্বাভাস: আজ বুধবার ৫০ টির বেশি জেলা কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিলও
আজ বুধবার (জানুয়ারি ১০, ২০২৪) সকাল ৬ টা বেজে ৩০ মিনিটের সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত কুয়াশার চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে দেশের ৫০ টির বেশি জেলা কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিলও। আজ বুধবারও সকাল ৭ টার সময় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে দেশের ৮ টি বিভাগের বিভিন্ন জেলার উপরে। অপেক্ষাকৃত ঘন কুয়াশার পরিমাণ ছিলও রংপুর, ময়মনিসংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিাভগের জেলাগুলোর উপরে। হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণে কুয়াশা ছিলও খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগে জেলাগুলোর উপরে। সবচেয়ে বেশি ঘনত্বের কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর উপরে।
ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে (সকাল ৬ টার সময়, জানুয়ারি ১০, ২০২৪) বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার উপরে কুয়াশার বিস্তার দেখা যাচ্ছে ।
আজ বুধবার সকাল ১১ টার কুয়াশার চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে এখন পর্যন্ত কুয়াশার উপস্থিতি রয়েছে দেশের উত্তর-পূর্ব দিকের অর্ধেকের বেশি জেলার উপরে। কুয়াশার উপস্থিতি রয়েছে রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের সকল জেলার উপরে ও রাজশাহী, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশিভাগ জেলার উপরে।
আজ বুধবার দুপুর ৩ টার পূর্বে রংপুর (পঞ্চগড়, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট জেলার উপরে) ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর উপর থেকে কুয়াশা সরে গিয়ে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম। রাজশাহী, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপরে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দুপর ২ টার পরে।
ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে (সকাল ১১ টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৪) বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার উপরে কুয়াশার বিস্তার দেখা যাচ্ছে ।
বুধবার, জানুয়ারি ১০, ২০২৪ দেশের উল্লেখযোগ্য শহর ও স্থানগুলোতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড (সকাল ৬ টার সময়)
আজ বুধবার সকাল ৬ টার সময় দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলায় ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দিনাজপুর জেলায় ভোর ৬ টার সময় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যশোর জেলায় ভোর ৬ টার সময় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাজশাহী জেলায় ভোর ৬ টার সময় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকা বিমানবন্দরে ভোর ৬ টার সময় ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বরিশালে ভোর ৬ টার সময় ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আজ বুধবার, ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বায়ু-দূষণের মানচিত্র
আজ বুধবার, ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ পুরো বিশ্বে সবচেয়ে দুষিত শহর হিসাবে ঢাকা শহরের অবস্থান ৫ ম স্থানে রয়েছে। আজ সকাল ১১ টার সময় ঢাকা শহরের ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার (পিএম ২.৫) বা তার চেয়ে কম ব্যাসার্ধের পার্টিকুলেট ম্যাটারের গড় ঘনত্ব রেকর্ড করা হয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ১৯৮। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্রহণযোগ্য মাত্রা অপেক্ষা প্রায় ৩০ গুন বেশি।
ঢাকা শহরে অস্হিত আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে যা International Centre for Diarrheal Disease Research, Bangladesh (icddr,b) নামে পরিচিত সেই সংস্থা পরিচিত বায়ুদূষণ যন্ত্রে ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার (পিএম ২.৫) বা তার চেয়ে কম ব্যাসার্ধের পার্টিকুলেট ম্যাটারের গড় ঘনত্ব রেকর্ড করা হয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ৩০২।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: বায়ুদূষণ পরিমাপের জন্য যে সূচক ব্যবহার করা হয় তা হলও, প্রতি ঘনমিটারে পার্টিকুলেট ম্যাটারের পরিমাণ। এক ঘনমিটারের মধ্যে কত মাইক্রোগ্রাম পার্টিকুলেট ম্যাটার আছে। পার্টিকুলেট ম্যাটার হলো— বাতাসের মধ্যে ধূলিকণা, ময়লা, আবর্জনা, লতাপাতার ভগ্নাংশ, ফুলের রেণু ইত্যাদি। সাইজ অনুসারে পার্টিকুলেট ম্যাটারকে দুভাগে ভাগ করা হয়— ব্যাসার্ধ ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার (পিএম ২.৫) বা তার চেয়ে কম ও পিএম ১০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে কম। ১ মাইক্রোমিটার হলও ১ মিটারের ১০ লক্ষ ভাগের এক ভাগ বা ১ মিলিমিটারের ১ হাজার ভাগের এক ভাগ।
ঢাকা শহরের কোন স্থানের বায়ু-দূষণের পরিমাণ কেমন ছিল?
বুধবার (১০ ই জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে বৃহঃপতিবার (১১ ই জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা পূর্বাভাস
আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে বৃহঃপতিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত দেশের ৮ টি বিভাগের মধ্যে ৬ টি (রংপুর, রাজশাহী, ময়মনিসংহ, সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম) বিভাগের বেশিভাগ জেলার উপরে ভারি থেকে খুবই ভারি ঘনত্বের কুয়াশার উপস্থিতি থাকার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ২ টি বিভাগের উপরে (খুলনা ও বরিশাল) হালকা থেকে মাঝারি ঘনত্বের কুয়াশা পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সূর্যের আলো দেখতে না পাওয়া যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে দেশের ৬ বিভাগের (রংপুর, রাজশাহী, ময়মনিসংহ, সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম) বেশিভাগ জেলাগুলোর উপরে। আগামীকাল বুধবারও দুপুর ২ টার পূর্বের সূর্যের আলো দেখতে না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর উপরে।
আজ বুধবার দিবাগত রাতে মহাসড়কে বাস-ট্রাক চলাচল ঝুঁকি ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা
আজ বুধবার দিবাগত রাতে (পুরো রাত) আবারও ভারি থেকে খুবই ভারি কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে দেশের ৬ বিভাগের (রংপুর, রাজশাহী, ময়মনিসংহ, সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম) সকল সড়ক ও মহাসড়কে।
আজ বুধবার দিবাগত রাতে নৌ-পরিবহন ঝুঁকি ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা
আজ বুধবার দিবাগত রাতে (রাত ১০ টার পর থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত) ঘন থেকে খুবই ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে দেশের ৮ বিভাগের সকল নৌপথ। দেশের সকল বড়-বড় নদ- নদীর নৌপথের দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটার এর নিচে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ছবি: আগামীকাল বৃহঃপতিবার সকাল ৬ টার সময়কার কুয়াশার সম্ভাব্যতার মানচিত্র, আবহাওয়া বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম "ফগ স্টাবিলিটি ইনডেক্স" (যে স্থানে রং যত বেশি লাল সেই স্থানে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা তত বেশি)।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ফগ স্টাবিলিটি ইনডেক্স এর মান ৩১ এর কম হলে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা; ৩১ থেকে ৫৫ এর মধ্য থাকলে হালকা থেকে মাঝারি মানের কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা ও ৫৫ এর বেশি ??লে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম নির্দেশ করে।
আগামী ৩ দিনের (শনিবার পর্যন্ত) কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ পূর্বাভাস
আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো হতে প্রাপ্ত জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখের পূর্বাভাস অনুসারে দেশব্যাপী চলমান কুয়াশার বিস্তার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের বিভাগগুলোর উপরে কমতে থাকবে। পক্ষান্তরে উত্তর-পূর্ব দিকের বিভাগগুলোর উপরে কুয়াশা বৃদ্ধি পেতে থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে আগামী শনিবার পর্যন্ত। কুয়াশা বৃদ্ধির সাথে-সাথে সকাল বেলার তাপমাত্রা কমা শুরু করেছে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনিসংহ ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। এই সপ্তাহের শেষের দিকে আবারও রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কোন-কোন জেলার উপরে সকাল ৬ টার সময় তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৮ ও ১৯ ই জানুয়ারি দেশব্যাপী উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপরে মঙ্গলবার (জানুয়ারি ১০) ও বুধবার (জানুয়ারি ১১) কুয়াশা পূর্বাভাস
আজ বুধবার সকাল ৬ টার সময় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিকের সকল জেলা ও মধ্য ও দক্ষিণ দিকের একাধিক জেলার উপরে মাঝারি থেকে ভারি কুয়াশার উপস্থিতি ছিলও। বিশেষ করে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার, আলিপুর দুয়ার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার উপরে ভারি কুয়াশা দেখা গেছে। আজ বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে আগামীকাল বৃহঃপতিবার সকাল ১০ টার মধ্যে আবারও পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিকের সকল জেলার উপরে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়ার থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
সর্ব-ভারতীয় কুয়াশা অবস্থা (জানুয়ারি ১০, ২০২৪)
আজ বুধবার সকাল ৬ টার সময় ভারতের অর্ধেকের বেশি রাজ্যের উপর কুয়াশার উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। আজ বুধবার সকালে হিমালয় পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত রাজ্য গুলো ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত রাজ্যগুলোর উপরে ঘন কুয়াশার বিস্তার লক্ষ করা গেছে।
ভারত, জাপান ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন সেন্সর দ্বারা সংগৃহীত কুয়াশার ((Visible, Dust RGB and Day Microphysics)) চিত্র ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪।
