একটি বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট যা বাংলা ভাষায় আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে একাধিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ ও রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

কাল বৈশাখী

ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে বন্যার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ শে জুনের মধ্যে

Blog Image
Email : 4683k 12k

ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে বন্যার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ শে জুনের মধ্যে

আগামীকাল ২০ ই জুন থেকে তিস্তা নদীর উপকূলবর্তী এলাকাগুলো (নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর জেলার) ও তিস্তা-নদীর চরগুলো আকস্মিক বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল (ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্টিং সিস্টেম) অনুসারে জুন মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত মোট বৃষ্টিপাতের পরিমান।

রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোতে জুন মাসের ১৫ তারিখ থেকে নিয়মিত ভাবে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার জেলায় খুবই ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে ১৪ ই জুন থেকে। সেই সাথে পূর্বাঞ্চলীয় ৭ টি রাজ্যের সবগুলোতে বিশেষ করে পুরো আসাম রাজ্যে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে জুন মাসের ১৩ তারিখ থেকে। ভারতীয় আব হাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে জুন মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত পূর্বাঞ্চলীয় ৭ টি রাজ্যের সবগুলোতে ভারি থেকে খুবই ভারি বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

উপরে উল্লেখিত বৃষ্টির পুরোটাই রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের মধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলোর পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ১ সপ্তাহ আসাম রাজ্যে প্রায় ১০০০ মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

১৮ জুন থেকে তিস্তা-নদীর উজানে অবস্থিত ভারতের গজল-ডোবা বাঁধের সকল দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে যার কারণে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহ শুরু হয়েছে। আগামীকাল ২০ ই জুন থেকে তিস্তা নদীর উপকূলবর্তী এলাকাগুলো (নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর জেলার) ও তিস্তা-নদীর চরগুলো আকস্মিক বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

 

বিশেষ দ্রষ্টব্য: সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে গত ২৪ ঘন্টা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম ছিলও। আগামী ৭ দিনের পূর্বাভাসে নিয়মিত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও সেই বৃষ্টির পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম থাকবে। ফলে আপাতত ভাবে সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে বন্যার সম্ভাবনা কমে গেছে।

Related Post