একটি বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট যা বাংলা ভাষায় আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে একাধিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ ও রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস

বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম সৃষ্টি হয়েছে: ৬ ও ৭ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা (আপডেট ১৩, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩)

Blog Image
Email : 4680k 12k

রবিবারের আবহাওয়া পূর্বাভাস: বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম সৃষ্টি হয়েছে: ৬ ও ৭ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা

ঘূর্ণিঝড় আপডেট ১৩ (ডিসেম্বর ৩, ২০২৩)

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালি হয়ে আজ রবিবার সকালে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম পরিণত হয়েছে (সূত্র: আমেরিকার নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার)।

২০২৩ সালে উত্তর ভারত মহাসাগরে (বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর নিয়ে গঠিত) ঘূর্ণিঝড় মৌসুমে সৃষ্টি হওয়া ৮ম পূর্নাঙ্গ ঘূর্ণিঝড় এটি। গত ১৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলও ২০২৩ বছরে। ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম শেষ হতে আরও ১ মাস অবশিষ্ট রয়েছে। অশাংকা করা হচ্ছে ২০২৩ সালে গত ৫০ বছরের ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির রেকর্ড ভঙ্গ করবে।

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আগামীকাল সোমবার ভোর এর পর থেকে তামিল নাড়ু রাজ্যের চেন্নাই সমুদ্র বন্দর ও অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের ভিশাখাপত্তম সমুদ্র বন্দরের মধ্যবর্তী স্থানের উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার। উপকূলে আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ কিলোমিটার। ঘন্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার দমকা হাওয়া সহ যা ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ বিকেল ৪ টার সময়। আজ রবিবার বিকেল ৪ টার সময় নিম্নচাপটির কেন্দ্র প্রায় ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ ই প্রায় ৮৩ দশমিক ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশের উপরে অবস্থান করছিল। জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের চার পাশের ঘূর্ণ্যমান মেঘের বলয় আরও ভালো ভাবে দৃশ্যমান।


ঘূর্ণিঝড় "মিগজাউম" এর বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করার সম্ভাবনা কেটে গেছে কারণ নিম্নচাপটি অনেক বেশি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২ দিন যদি হঠাৎ করা জেটস্ট্রিমের পূর্বমুখী চালার গতি বৃদ্ধি না পায় তবে ঘূর্ণিঝড় "মিগজাউম" ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের চেন্নাই কিংবা ভিশাখাপত্তম সমুদ্র বন্দরের উপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রকৃতির ঘূর্ণিঝড় হিসাবে। ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ ওড়িশা রাজ্যের উপকূলে পূর্নাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে হিসাবে ঘন্টয়া ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে আঘাত করার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় "মিগজাউম" এর প্রভাবে বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ডিসেম্বর মাসের ৬ তারিখ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপরে ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

ছবি: আমেরিকান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে ঘুর্নিঝড় মিগজাউম এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপরে বিশেষ করে উপকূলীয় জেলাগুলোর উপরে সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।

 

Related Post