একটি বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট যা বাংলা ভাষায় আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে একাধিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ ও রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

ঘূর্ণিঝড়

সিলেট বিভাগে বন্যার শুরু ও বাংলাদেশে মে মাসের বৃষ্টিপাতের সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করার আশংকা দেখা যাচ্ছে

Blog Image
Email : 78983k 12k

সিলেট বিভাগে বন্যার শুরু ও বাংলাদেশে মে মাসের বৃষ্টিপাতের সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করার আশংকা দেখা যাচ্ছে

-----> আগামী ১০ দিনে (মে মাসের ৫ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত) সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাত সিলেট বিভাগে বন্যা ও বাংলাদেশের মে মাসের বৃষ্টিপাতের সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করতে পারে।

------> আজ রবিবার সকাল ১১ টা বেজে ৩০ মিনিটের পর থেকে বৃষ্টি শুরু হতে যাচ্ছে সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর উপরে।

-----> ৫, ৬ ও ৭ ই মে (৩ দিন) তীব্র বজ্রপাত সহ ভারি থেকে খুবই ভারি বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে সিলেট বিভাগের ৪ টি জেলা, মেঘালয় রাজ্য ও পূর্ব আসামের ৩ টি জেলার উপরে।

------> আগামী ৩ দিনের প্রত্যেকদিনই একাধিকবার তীব্র বজ্রপাত সহ ভারি থেকে খুবই ভারি বৃষ্টি অতিক্রম করার প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে।

------> আগামীকাল সোমবার থেকে সিলেট বিভাগের নদ-নদীগুলোর উপকূলবর্তী এলাকাগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে।

ছবি বর্ণনা: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্টিং সিস্টেম মডেল অনুসারে আগামী ১৪ ই মে পর্যন্ত সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার উপরে সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের গড় পরিমাণ ৩০ থেকে ৪০ % কম কিংবা বেশি হতে পারে।

আগামী ৩ দিন সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর উপরে সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নিম্নরূপ:

রবিবার দুপুর ১২ টা থেকে সোমবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত: ১০০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার

সোমবার দুপুর ১২ টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত: ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার

মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে বুধবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত: ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার

মে মাসের ৫ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাত বাংলাদেশের মে মাসের বৃষ্টিপাতের সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করার প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে।

বিশ্বের প্রধান-প্রধান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো মে মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের যে পরিমাণ নির্দেশ করতেছে সেই পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলে এই বৃষ্টিপাত বাংলাদেশে মে মাসের সংগঠিত মোট বৃষ্টিপাতের সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করতে পারে। বিশেষ করে বরিশাল, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের উপরে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণের দিক থেকে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, আমেরিকা ও কানাডার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত ১০ দিনের বৃষ্টিপাত পূর্বাভাসে ২৫০ থেকে ৩৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে বরিশাল, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার উপরে। বিশেষ করে ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, শরিয়তপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ফেনী, বরিশাল, ও বরগুনা জেলাগুলোর উপরে।

ছবি বর্ণনা: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্টিং সিস্টেম মডেল অনুসারে আগামী ১৪ ই মে পর্যন্ত সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার উপরে সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের গড় পরিমাণ ৩০ থেকে ৪০ % কম কিংবা বেশি হতে পারে।

মে মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগের উপর সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নিম্নরূপ:

সিলেট বিভাগ: ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার
চট্টগ্রাম বিভাগ: ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার
বরিশাল বিভাগ: ৩৫০ থেকে ৪৫০ মিলিমিটার
ঢাকা বিভাগ: ১০০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার
খুলনা বিভাগ: ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার
ময়মনসিংহ বিভাগ: ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার
রাজশাহী বিভাগ: ৩০ থেকে ৭৫ মিলিমিটার
রংপুর বিভাগ: ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার

ছবি বর্ণনা: আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম মডেল অনুসারে আগামী ১৪ ই মে পর্যন্ত সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার উপরে সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের গড় পরিমাণ ৩০ থেকে ৪০ % কম কিংবা বেশি হতে পারে।

ছবি বর্ণনা: কানাডার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে আগামী ১৪ ই মে পর্যন্ত সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার উপরে সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের গড় পরিমাণ ৩০ থেকে ৪০ % কম কিংবা বেশি হতে পারে।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উপরে বৃষ্টিপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্??াভাস

আজ থেকে শুরু করে আগামী ৪ দিনের প্রত্যেক দিনই দিনে ও রাতে একাধিকার তীব্র বজ্রপাত সহ মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি অতিক্রম করার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্যের সকল জেলার উপরে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের আশংকা রয়েছে ৫ ও ৬ ই মে। আগামী ১৪ ই মে পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার উপরে ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার পর্যন্ত মোট বৃষ্টিপাতের প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে।

ভারতের আসাম রাজ্যের পূর্ব দিকের জেলাগুলোর উপরে বৃষ্টিপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস

আজ থেকে শুরু করে আগামী ৪ দিনের প্রত্যেক দিনই দিনে ও রাতে একাধিকবার তীব্র বজ্রপাত সহ মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি অতিক্রম করার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ, কাছার ও হাইলাকান্দি জেলার উপরে। আগামী ১৪ ই মে পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার উপরে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার পর্যন্ত মোট বৃষ্টিপাতের প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে।

 

Related Post