একটি বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট যা বাংলা ভাষায় আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে একাধিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ ও রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

ঘূর্ণিঝড়

বুধবারের (অক্টোবর ১৮, ২০২৩) আবহাওয়া পূর্বাভাস

Blog Image
Email : 4567k 12k

বুধবারের (অক্টোবর ১৮, ২০২৩) আবহাওয়া পূর্বাভাস

আজ ১৮ ই অক্টোবর বুধবার দুপুর ২ টা বেজের ৩০ মিনিটের জাপানের হিমাওয়ারি নামক কৃত্রিম ভূউপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত দৃশ্যমান চিত্র (visible imagery, ব্যান্ড ৩, শূন্য দশমিক ৬৪ মাইক্রোমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য) বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে মৌসুমি বায়ু পুরোপুরি বাংলাদেশের স্থল ভাগ ত্যাগ করেছে। আজ ১৮ ই অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলে ভূ-পৃষ্ঠের উপরে বায়ুর উচ্চচাপ অবস্থা বিরাজ করছে যার কারণে মেঘ সৃষ্টিতে হতে পারিতেছে না। বাংলাদেশের ভূ-পৃষ্ঠের উপরে বায়ুর উচ্চ চাপ অবস্থা বিরাজ করার কারণে বাতাস বাংলাদেশের স্থল ভাগের উপরে থেকে বঙ্গোপসাগরের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে আর্দ্র ও গরম বাতাস বাংলাদেশের স্থল ভাগের উপরে প্রবাহিত হতে পারিতেছে না। আজ দুপুর ১২ টার সময় বাংলাদেশের উপর বায়ুর আর্দ্রতা ছিলও মাত্র ৩০%। আজ বুধবারও বাংলাদেশের বেশিভাগ জেলার আকাশ মেঘ-মুক্ত থাকবে ও সারাদিন রৌদ্রৌজ্জল অবস্থা বিরাজ করবে।

আজ দুপুর ২ টা বেজে ৪০ মিনিটের সময় কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ ও রাডার থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করে আজ দিনের অবশিষ্ট সময়ে বাংলাদেশের কোন জেলায় বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

আগামীকাল বৃহঃপতিবারও বাংলাদেশের সকল জেলার আবহাওয়া আজ বুধবারের মতো থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ, আগামীকালও বাংলাদেশের বেশিভাগ জেলার উপরে বৃষ্টিপাত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই।

ছবি কৃতজ্ঞতা: বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর আবহাওয়া বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত রাডার থেকে প্রাপ্ত রিফলেকটিভিটি (মেঘের মধ্যে অবস্থিত বৃষ্টির কণায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে রাডারের গ্রাহক যন্ত্রে প্রতিফলিত রশ্মির পরিমাণ) মানচিত্র। চিত্রের লাল রং ভারি বৃষ্টি; হলুদ রং মাঝারি মানের বৃষ্টি ও সবুজ রং হালকা মানের বৃষ্টি নির্দেশ করে। [দুপুর ৩ টা বেজে ১৫ মিনিট]


পশ্চিমবঙ্গের উপর বৃষ্টিপাত পূর্বাভাস

পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতা ও তার চার পাশের বৃষ্টিপাতের সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে দুপুর ৩ টার পর থেকে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের অন্য কোন জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।


ছবি: কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত (দুপুর ২ টা বেজে ৪০ মিনিট) মেঘের শীর্ষের তাপমাত্রা। যে স্থানে তাপমাত্রা যত বেশি ঋনাত্নক সেই স্থানে মেঘের উচ্চতা তত বেশি ও সেই স্থানে মেঘের মধ্যে বৃষ্টির পানির পরিমাণ তত বেশি।

ছবি: জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত (দুপুর ২ টা বেজে ৫০ মিনিট) মেঘের চিত্র বাংলাদেশের উপর

Related Post