একটি বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট যা বাংলা ভাষায় আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে একাধিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ ও রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস

ঘূর্ণিঝড় আপডেট ৩: ২০ থেকে ২৭ শে মে এর মধ্যে শক্তিশালি ঘূর্ণিঝড় (রিমাল) আঘাতের প্রবল আশংকা দেখা যাচ্ছে।

Blog Image
Email : 78982k 12k

ঘূর্ণিঝড় আপডেট ৩: ২০ থেকে ২৭ শে মে এর মধ্যে শক্তিশালি ঘূর্ণিঝড় (রিমাল) আঘাতের প্রবল আশংকা দেখা যাচ্ছে।

মে মাসের ২০ তারিখ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশংকা নির্দেশ করেছে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল। এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে আবহাওয়া ডট কম ওয়েবসাইটে সম্ভব্য এই ঘূর্ণিঝড়টির সৃষ্টি সম্বন্ধে প্রথম পূর্বাভাস প্রকাশ করা হয়। এর পরে ২৯ শে এপ্রিল সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির দ্বিতীয় পূর্বাভাস প্রকাশ করা হয়। ঐ সময় শুধুমাত্র আমেরিকান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। ভারত ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে রেকর্ড ভঙ্গ তাপ-প্রবাহ শেষ হয়ে গেলে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির সম্ভাবনা সাময়িক ভাবে শেষ হয়ে গিয়েছিল।

আজ ১০ ই মে তারিখে একই সাথে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত পূর্বাভাস ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশংকা ৫০ থেকে ৬০ % নির্দেশ করেছে ৯ ই মে তারিখে প্রদত্ত পূর্বাভাস অনুসারে।

এখানে উল্লেখ্য যে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল একই সাথে সমুদ্রের কোন স্থানে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিলে সেই ঘুর্নঝড়টি সৃষ্টি সম্বন্ধে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া যায়। সম্ভব্য এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে রিমাল। এই নামটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের দেওয়া।

আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল একই সাথে নির্দেশ করেছে যে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার আশংকার কথা। আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় হিমাল মে মাসের ২৩ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে উপকূলে আঘাত করতে পারে।

এখানে উল্লেখ্য যে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় বর্ষা মৌসুম শুরু পূর্বে ও বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার পরে। বাংলাদেশের উপরে মৌসুমি বায়ু প্রবাহ শুরু হয় সাধারণত মে মাসের ৩০ তারিখের পর থেকে জুন মাসের ৭ তারিখের মধ্যে। বর্ষাকাল শুরুর পূর্বের ঘূর্ণিঝড় মৌসুম মার্চ মাসে শুরু হলেও আজ ১০ ই মে পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে কোন ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ কিংবা লঘুচাপও সৃষ্টি হয় নাই; তাই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট পরিমাণে শক্তি জমা হয়েছে। সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি যেহেতু মে মাসের ২০ তারিখের পরে সৃষ্টি হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে তাই সম্ভব্য এই ঘুর্নিঝড়ট খুবই শক্তিশালি হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে যদি বায়ু শিয়ারের মান অনুকূল অবস্থায় থাকে কারণ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি ও শক্তিশালি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ৪ টি প্রধান উপাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩ টি উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।

আজ ১০ ই মে তারিখের পূর্বাভাস তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় হিমাল সম্বন্ধে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্য হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির সম্ভব্য সময়: ১৯ থেকে ২১ শে মে

পূর্ণিমা রাত: ২৩ শে মে, ২০২৪

স্থলভাগে আঘাতের সম্ভব্য সময়: ২৩ থেকে ২৫ শে মে

স্থলভাগে আঘাতের সম্ভব্য স্থান: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উপকূলের মধ্যবর্তী যে কোন স্থান।

স্থল ভাগে আঘাতের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ: বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম উপকূলে আঘাত করলে ঘন্টায় ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার; পূর্ব উপকূলে আঘাত করলে ঘন্টায় ১৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটার।

 

আবহাওয়া ডট কম ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বঙ্গপোসাগরে ঘূর্ণিঝড়টির সৃষ্টির প্রথম ২ টি পূর্বাভাসের লিংক?

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় (নাম হবে রিমাল) সৃষ্টির আশংকা: আপডেট ১

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় রিমাল সৃষ্টির আশংকা (আপডেট ২): বাংলাদেশের উপকুলে আঘাতের আশংকা

 

Related Post