বৃষ্টিপাত পূর্বাভাস (আপডেট ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪): বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি ১৭ ই জানুয়ারি মধ্য রাতের পর থেকে ১৮ ই জানুয়ারি সন্ধ্যার মধ্যে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যশোর রাডার থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমান্ত সংলগ্ন পুরুলিয়া রাজ্যের উপরে বৃষ্টি-যুক্ত মেঘের সৃষ্টি হয়ে তা পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার উপরে দিয়ে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের যশোর, ঝিনাইদহ ও খুলনা জেলার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যশোর রাডার থেকে প্রাপ্ত রিফলেকটিভিটি মানচিত্র থেকে দেখা যাচ্ছে যে যশোর, ঝিনাইদহ, ও চুয়াডাঙ্গা জেলার কোন-কোন উপজেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাত ১১ টার পর থেকে।
আজ মধ্য রাতের পর থেকে আগামীকাল বৃহঃপতিবার সকাল ৬ টার মধ্যে নিম্নলিখিত জেলাগুলোর উপরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। খুলনা বিভাগের দিক থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের দিকে। ফলে খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে শুরুতে বৃষ্টি হবে ও ভোরের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপরে।
খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। বিশেষ করে যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, মাগুরা, নড়াইল, গোলাপগন্জ, মাদারিপু, শরিয়তপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালি, নোয়াখালী, ফেনী, উত্তর চট্রগ্রাম বৃষ্টির সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত বেশি।
চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী, ফেনী, ও চট্টগ্রাম জেলায় বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকা শহরে বৃষ্টির আপাত কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। দেশের অন্যান্য বিভাগের জেলাগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করেও বৃষ্টি-যুক্ত মেঘের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে ভারতের ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ও বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর উপরে।
বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি আজ ১৭ ই জানুয়ারি রাত ১১ টার পর থেকে ১৮ ই জানুয়ারির সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে। হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টির প্রথম পর্ব আজ রাত ১১ টার পর থেকে ভোর ৬ টার মধ্যে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর উপরে দিয়ে অতিক্রম করার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত মূলত পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণের জেলাগুলোর উপর দিয়ে খুলনা বিভাগ ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর উপর দিয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে।
যে পশ্চিমা লঘু চাপের ফলে বৃষ্টির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তা অনেক বেশি দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উপরে সরে গেছে ফলে আজ রাতে রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর উপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম দেখা যাচ্ছে। তবে রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী ও চাপাইনবাব গঞ্জ জেলার উপরে খুব সামান্য পরিমাণ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধান-প্রধান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল নির্দেশিত সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের চিত্র নিচে যোগ করা হলও। এই বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ১৭ ই জানুয়ারি মধ্য রাতের পর থেকে ১৯ শে জানুয়ারি সন্ধ্যার ৬ টার মধ্যে।
ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্টিং সিস্টেম মডেল থেকে প্রাপ্ত নিচের চিত্রের দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।
ছবি: আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম মডেল থেকে প্রাপ্ত চিত্রের দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।
ছবি: যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত চিত্রে দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ
ছবি: দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত চিত্রে দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ
ছবি: ৯ টি মডেল থেকে প্রাপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাব্য গড় মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।
ছবি: উরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে ভারতের উত্তর-পশ্চিম দিকের রাজ্যগুলোর দিক থেকে মেঘ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে এই মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। এই মেঘ ভারতের মধ্যাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় বাধাপাপ্ত হয়ে গভীর মেঘের সৃষ্টি করবে আগামীকাল সকালে সূর্য উঠার পর থেকে।
ছবি: উরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে ভারতের উত্তর-পশ্চিম দিকের রাজ্যগুলোর দিক থেকে মেঘ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে এই মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। এই মেঘ ভারতের মধ্যাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় বাধাপাপ্ত হয়ে গভীর মেঘের সৃষ্টি করবে আগামীকাল সকালে সূর্য উঠার পর থেকে।
