মঙ্গলবার (জুন ২০) দিবাগত মধ্য রাতের পর থেকে বুধবার (২১ শে জুন) সকাল ৮ টা পর্যন্ত বজ্রপাত ও বৃষ্টিপাত পূর্বাভাস
মঙ্গলবার (জুন ২০, ২০২৩) রাত ১০ টার পর থেকে আবারও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার, কোকরা-ঝাড় জেলা, আসাম রাজ্যের বহ্মপুত্র উপত্যকা ও রংপুর বিভাগের লন্বচগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা জেলার উপরে বজ্রপাত সহ মাঝারি থেকে ভারি মানের বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে যা বুধবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আজ রাতের এই বৃষ্টির ফলে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধুধকুমার নদী সহ অন্যান্য শাখা ও উপশাখা নদীগুলোর পূর্ণ হয়ে নদীর উপকূলবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
আজ ২০ ই জুন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রে তথ্য মতে নীলফামারী জেলার তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্ট, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার দুধকুমার নদীর পাটেশ্বরী নামক স্টেশন, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার হাতিয়া স্টেশন, অতি গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি নামক স্টেশনে নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু হয়েছে।
আজ রাতের বৃষ্টির কারণে আগামী ২৪ ঘন্টা উপরোক্ত নাদীগুলোর পানির উচ্চতা আরও বৃদ্ধি পাবে তা যেহেতু গত ৩ দিন ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার, কোকরা-ঝাড় জেলা, আসাম রাজ্যের বহ্মপুত্র উপত্যকায় ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বিশ্বের নামকরা আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থাগুলোর সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ২২ শে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগে ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্বাঞ্চলীয় ৭ টি রাজ্যের সবগুলোতে ভারি থেকে খুবই ভারি বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: চলমান অতিবৃষ্টির প্রধান কারণগুলো নিম্নরূপ
পশ্চিম ভারতের স্থল ভাগে অবস্থিত ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের অবশিষ্ট অংশ, পশ্চিমবঙ্গের উপর অবস্থান করা মৌসুমি বায়ু, ও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচালের মিলিত প্রভাবে আগামী ২২ শে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ও পূর্বাঞ্চলীয় ৭ টি রাজ্যের উপরে নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলগুলো।